


পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে কমলা চাষে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতিপাড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান পৈতৃক ১০০ শতক জমিতে প্রায় চার শতাধিক কমলা গাছ লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘আবরার অরেঞ্জ গার্ডেন’। এ বাগান এখন স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্তের ক্রেতা-দর্শনার্থীদেরও আকর্ষণ করছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে বাগানে গেলে দেখা যায়, টাটকা ও স্বল্পমূল্যের কমলা সংগ্রহ করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করছেন। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ, নিজ হাতে ফল ছেঁড়ে সংগ্রহ এবং ছবি তোলার সুযোগে উৎসাহ আরও বেড়েছে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
দর্শনার্থী রাকিবুল ইসলাম রকি বলেন, কমলাগুলো দেশের বাইরে থেকে আনা কমলার মতো। দামও তুলনামূলক কম। আরেক দর্শনার্থী লালচান বাদশা বলেন, দাম সাধ্যের মধ্যে। ফল খেয়ে ভালো লেগেছে। বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় জানান, নভেম্বরের শেষে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন ২০০-২২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ কিনতে আসে—খুবই ভালো লাগে।
শৈশব থেকেই কৃষির প্রতি আগ্রহী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুরুতে ২০ শতকে পরীক্ষামূলকভাবে কমলা লাগাই। ভালো ফলন পাওয়ায় সহদরদের নিয়ে ১০০ শতকে চাষ করি। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের বেলে-দোআশ মাটি ও দার্জিলিং-হিমালয়সংলগ্ন আবহাওয়া কমলা চাষের উপযোগী। নতুন উদ্যোক্তাদের আমি চারা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, দেবীগঞ্জের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য অনুকূল। সঠিক পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা দিতে কৃষি বিভাগ সর্বদা প্রস্তুত।