বিভিন্ন সূত্রেমতে, এই ভূয়া কাজিরা সাধারণত জাল নথি ব্যবহার করে বিয়ে পড়ান। তাঁরা সাধারণ মানুষের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ বিয়ে, অবৈধ তালাকনামা ও বিয়ের ভূয়া নকল সনদ তৈরি করে বিপদে ফেলছেন সাধারণ মানুষকে।
জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নিবন্ধিত নিকাহ রেজিস্ট্রার থাকলেও এর বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিকাহ রেজিষ্টার ভলিউম সংগ্রহ করে প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন ব্যক্তি নিজেদের কাজী দাবি করে নিকাহ রেজিস্ট্রার করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের আবু হানিফ। সদর ইউনিয়নের আকবর আলী এবং তিলাই ইউনিয়নের আব্দুর রহিম।অভিযোগ আছে এসব ভুয়া কাজী বিভিন্ন বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়ে কাবিন রেজিস্ট্রির নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।এসব কাজিদের লাইসেন্স না থাকায়, নিজের ইচ্ছেমত অবৈধ কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তাদের কোন জবাবদিহিতা না থাকায় তারা আইন কানুনের কোন তোয়াক্কাই করছেনা।
ফলে পারিবারিকভাবে আইনগত জটিলতায় পড়ছেন অনেক দম্পতিরা।
কাজী দাবী করা এই তিন স্বঘোষিত কাজীর সাথে মোবাইল কথা হয় এই প্রতিনিধিত্ব সাথে।এসময় আবু হানিফ বলেন,আমি নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের মোশাররফ কাজীর বই এনে নিকাহ রেজিষ্টার করে থাকি। আব্দুর রহিম নামের কাজী তিনি তিলাই ইউনিয়নের নিবন্ধিত কাজী আব্দুর রহিমের সহকারি হিসেবে কাজ করেন বলে জানান। অপর দিকে আকবর আলী সোনাহাট ইউনিয়নের নিবন্ধিত কাজী আব্দুল মান্নানের নিকাহ রেজিষ্টার বই নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কাজীগিরী করেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তুু তারা অবৈধভাবে কোন বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেননা বলে দাবী করেন।
সোনাহাট ইউনিয়নের নিবন্ধিত কাজী আব্দুল মান্নান আকবর আলী নামের ওই ব্যাক্তিকে তার নিকাহ রেজিষ্ট্রার বই দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।কিন্তুু তাকে নিকাহ রেজিষ্ট্রার বই দেয়া অপরাধ কিনা এবিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এব্যাপারে অনুমোদিত কাজি তছলিম উদ্দিন, ওসমান আলী ও আলা উদ্দিন জানান, এসব ভূঁয়া কাজিদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার অবগত আছেন। মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবেই কমছে না এসব কাজীদের দৌরাত্ম্য।
এব্যাপারে কাজি সমিতির কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি নুরুজ্জামান জানান, এসব ভূয়া কাজিদের নামের তালিকা আপনারা পত্রিকায় প্রকাশ করেন, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আল হেলাল মাহমুদ জানান, অভিযোগ পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে পরামর্শ করে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তবে জনসাধারণকে অনুমোদিত কাজিদের তালিকা দেখে বিয়ে ও তালাক সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন তিনি।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা রেজিষ্টার রুহুল কুদ্দুস জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।