কর্মবিরতির কারণে উপজেলার সব ইউনিয়নে টিকাদান কার্যক্রম, মাঠপর্যায়ের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং মা-শিশু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রান্তিক জনগণ।
স্বাস্থ্য সহকারীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা ন্যায্য দাবি ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আন্দোলনের মাধ্যমে একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো কোনো দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবেই কর্মবিরতি পালনে বাধ্য হয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবি হলো—
১. শিক্ষাগত যোগ্যতার যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মান সংযোজন।
২. ১৪তম গ্রেড প্রদান।
৩. ইন্সপেক্টর পদোন্নতি কাঠামোতে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৪. ফিল্ড সুপারভাইজার পদে পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিতকরণ।
৫. দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য নিরসন।
৬. পদোন্নতির সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের
উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম
বলেন, “আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ নই। তবে বছরের পর বছর আমাদের দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় কর্মবিরতিতে নেমেছি। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন , উপজেলা বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদুল ইসলাম,স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহা জালাল মিয়া, স্বাস্থ্য সহকারী আরিফুল ইসলাম, শ্যামল কুমার সিংহ, জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে শিশুদের টিকাদান, প্রাথমিক চিকিৎসা ও মা-শিশু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বক্তারা সরকারের প্রতি দ্রুত দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, যাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত না হয়।
এর আগে কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাডাঃসুজয় সাহার মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।