তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবে বিএনপি। রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় একযোগে এই কর্মসুচি পালন করা হবে। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসুচি পালন করছে দলটি। জেলা প্রশাসক মাধ্যম এই স্মারকলিপি প্রেরিত হবে। এছাড়া ৯ই অক্টোবর পাঁচ জেলার উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিল ও সমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর নদী তীরবর্তি ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্জলন করা হবে একযোগে। শনিবার রবিবারের কর্মসুচি সফল করণে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক এবং সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, আমরা সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু দেখতে চাই। আমরা আর আশা নিয়ে আর থাকতে চাই না, কারণ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তিস্তা এলাকার ২ কোটি মানুষকে আশাহত করেছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করা হোক পরবর্তিতে নির্বাচিত সরকার এসে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক মীর সেলিম ফারুক বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক ভাবে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে উত্তরের পাঁচ জেলায়। আর কালক্ষেপন আমরা চাই না। দ্রুত যেন কাজ শুরু করা হয় এটি এখন আমাদের চাওয়া। তিস্তা নিয়ে প্রতিটি কর্মসুচি সফল করণে বিএনপির প্রতিটি নেতা কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, রবিবার সকাল এগারটার দিকে পদযাত্রা নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাবো। জেলা প্রশাসক মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সোহেল পারভেজ ও মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, সদস্য আনিসুর রহমান কোকো, মুক্তার হোসেন, শহীদ শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম শেপু প্রমুখ বক্তব্য দেন সভায়।