রংপুরের পীরগাছায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ শেফালি বেগম অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন। গত শনিবার উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের তৈয়ব গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শেফালী বেগম (৩৫) পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের নিজতাজ গ্রামে বসবাস করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে পার্শ্ব^বর্তি তৈয়ব গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় শেফালি বেগমের। তবে স্বামীর অবহেলা ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে সম্পর্ক ভাঙতে শুরু করে। সম্প্রতি লোকমুখে তিনি জানতে পারেন, নজরুল তাঁকে তালাক দিয়েছেন।
শেফালি অভিযোগ করেন, শনিবার ভোরে তালাকের কাগজপত্র নিতে গেলে, স্বামী নজরুল, সতিন আমেনা বেগম, চাচাতো ভাই বক্কর, বোনের জামাই মঞ্জু এবং প্রতিবেশী কাশিম ও ইয়াসিন তাকে বাড়ির বাইরে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি শেফালীকে তালাক দিয়েছেন এবং মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। স্থানীয় কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহীন মির্জা সুমন বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে আমি সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে শেফালীকে উদ্ধার করেছি। আপোশ-মীমাংসার চেষ্টা চলছে।’
তবে শেফালি বেগম অভিযোগ করছেন, ‘মীমাংসার নামে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।’
মাহীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ঘটনাটি পুলিশের নজরে এসেছে। আমরা শেফালীকে লোক মারফত থানায় ডেকেছি। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’