রবিবার সকাল ৮টার দিকে মাত্র দুই মিনিট স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ভাঙা ঘরে ও রাস্তার ধারে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পুরো এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।
নোহালী ইউনিয়নের আব্দুল আমিন বলেন, দিনভর কষ্টে কাটালাম। এখন রাতে পরিবার নিয়ে বসার জায়গাও নেই। বৃষ্টি থেমেছে, কিন্তু ঠান্ডায় ছোট বাচ্চারা কাঁপছে।মাহফুজা বেগম জানান, বাড়ি ভেঙে গেছে, এখন মাথা গোজার ঠাঁই নেই। খাবার নেই, বিদ্যুৎও নেই। ছোট ছেলেকে নিয়ে এখন মোমবাতির আলোয় বসে আছি।
আলমবিদিতর কুতুব এলাকার সুলতান আলী বলেন, ঘরবাড়ি সব শেষ। রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। রাতে ঠান্ডা ও অন্ধকারে বাচ্চারা কাঁদছে। সরকারি সহায়তা ছাড়া সব কিছু ঠিকঠাক করা কঠিন । স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কিছু কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণের চেষ্টা করছেন, তবে প্রাথমিক সহায়তা পর্যাপ্ত নয়।
আলমবিদিতর এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গা মাসে এমনিতে চলা কঠিন। আল্লাহ এই সময় এমন ঝড় দিল মাথা গোজার ঠাঁই কোনাও শেষ হয়া গেল। হামাক সরকারি সাহায্য দেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিতে ত্রাণ টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সজিবুল করীম জানান, রাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে আরও টিম মাঠে নামবে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, রাতেই উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রাথমিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য টিম মোতায়েন করেছে। সোমবার সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও ত্রাণ ও আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হবে।