বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রায় দেড় মাস পর গত শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন নয়ন মিয়া। রবিবার সকাল দশটায় নিজ গ্রাম দক্ষিণ গোবধায় তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। নয়ন মিয়া রাজধানীর কাঁঠাল বাগান এলাকার একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন।
তিনি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবধা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওই দিনই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নয়নের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকেলে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে প্রথম নামাজে জানাজা ও পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৪৭ দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নয়ন মিয়া। তিনি ঢাকায় একটি মটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন এবং যুবদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রেখে গেছেন। এ অবস্থায় তার মেয়ে ও স্ত্রী পরিবার চালানো নিয়ে পড়েছেন ব্যাপক দুশ্চিন্তায়। আর এলাকাবাসী এ হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার দাবী জানিয়েছে। আড়াই বছরের মেয়ে সন্তান নুশরাতকে কোলে নিয়ে এভাবেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন নয়নের রিফা আক্তার। তার এ কান্না প্রিয় স্বামী তথা অভিভাবক হারানোর কান্না। আর মায়ের কোলে অবুঝ সন্তানের মায়া মুখ বলছে, তার পিতৃ বিয়োগ সে বুঝতে পারছেনা।
Related