কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে শহরের মসজিদুল হুদা মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে গত রবিবার শহরজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটির নেতাকর্মীরা।
ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধনে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আপন আলমগীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিঞা, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম হাবিব নয়ন, পৌর বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদ, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রিনা বেগম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তৌফিকুর রহমান লাভলু, সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম শামীম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তৌফিকুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রিপন মিয়া, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হামিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বিপুল, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মারুফ ও নিহত যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলামের বাবা আয়নাল হক।
বক্তারা আব্দুল খালেকের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলামকে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদ করেন। এ সময় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বব (শুক্রবার)সন্ধ্যায় উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া এলাকার তরুণ-তরুণীর প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় উলিপুর থানায় আপোষ রফার জন্য বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে বিএনপির দুই গ্রুপের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে যুবদল নেতা আশরাফুল আলম ও রাজীব নামে অপর এক যুবদল নেতা আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই নিহত যুবদল নেতার বাবা আয়নাল হক বাদী হয়ে বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারী সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল ও কৃষকদল নেতা আবু জাফর সোহেল রানাসহ ২০ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, সোমবার (আজ) সকালে ঢাকা থেকে সুলতান আহম্মেদ নামের একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।