নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের উপকণ্ঠে ঢেলাপীর হাট থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ৯টি সুন্দি কাছিম ও ১০টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সে সব পাখি মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। শনিবার দুপুরে সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়। ওই পাখিগুলোর মধ্যে সাতটি তিলা ঘুঘু ও বিরল প্রজাতির তিনটি টিয়া রয়েছে।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্রে নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দল গত শুক্রবার বিকেলে শহরের উপকণ্ঠে ঢেলাপীর হাটে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ঢেলাপীর হাটের শেড ঘরের ভেতরে চার জন বিক্রেতার কাছ থেকে নয়টি কাছিম ও ১০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে সাতটি তিলা ঘুঘু ও বিরল প্রজাতির তিনটি টিয়া। পরে সেখানে বিক্রেতারা পাখি শিকার ও বিক্রি করবেন না বলে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর পাখিগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সৈয়দপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। কাছিমগুলো বন বিভাগের পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পাখি অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, সৈয়দপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিকুল ইসলাম মুসকরী, প্রাকৃতিক পরিবেশে পাখি পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সৈয়দপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ সব পাখি সংরক্ষণ খুবই জরুরী। পাখি শিকার ও বিক্রি বন্ধে এ ধরনের অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।