প্রয়াত সাংবাদিক নোয়াজেস হোসেন (খোকা) ১৮ মার্চ ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী। রংপুর হারাগাছের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন, তার পিতা মরহুম বাসারত উল্ল্যাহ একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পৃক্ত ছিল এ কিংবদন্তী’র। ছাত্র জীবন থেকেই অন্যায়ের প্রতিবাদ আর ন্যায় কে প্রতিষ্ঠা করতে করতে বিপ্লবি হয়ে উঠেন। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল মোস্তাফিজ চাচা তার লেখা বইয়ে নোয়াজেস হোসেন খোকা সম্পর্কে লিখে গেছেন।
নোয়াজেস হোসেন খোকা ১৯৬২ সালে দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের সংবাদকর্মী হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তাছাড়াও তিনি নিউনেশন, সিনে পূবার্ণী পত্রিকায় রংপুর প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন। রংপুর প্রেসক্লাবে দীর্ঘ সময় সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক সাহস, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা উৎস হয়েছিল তার নিখুত লিখুনিতে, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে সাংবাদিকতা পেশায়। মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত বছর ইত্তেফাক পত্রিকায় সংবাদ কর্মি হিসাবে নিষ্ঠা ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হইলে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ৬নং সেক্টরের অধিনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। সে সময় কোলকাতা থেকে প্রকাশিত “ভারত বার্তা” পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি ভারত বার্তা পত্রিকার সাথে যুক্ত থেকে সংবাদ পত্রে অকুতোভয় কলম সৈনিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। দেশের সার্থে পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পুরুস্কার লাভ করেন।
তার মধ্যে মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পদক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক প্রদত্ত “বাঙালী” পদক, রাজশাহীর পদ্মাপদক, রংপুর রোটারী ক্লাব কর্তৃক প্রদত্ত গুনীজন সম্মাননা পদক এবং ঢাকার রংপুর সমিতি প্রদত্ত পদক লাভ করেন। প্রয়াত গুনী সাংবাদিক নোয়াজেস হোসেন খোকা ১৯৬৫ সালে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ৪ পুত্র সন্তান ও ১ কন্যা সন্তানের জনক হন। এই কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব ২০০০ সালের ১৮ মার্চে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর শারীরিক শুন্যতার সৃষ্টি পূরণ হওয়ার মতো নয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর ভূমিকা আলোচিত হবে, আলোকিত করবে আগামী বহু প্রজন্মকে। পবিত্র রমজান মাসে সকলের কাছে দােয় প্রার্থনা করেছন মরহুমের ছেলে সাজ্জাদ হোনে বাপ্পি।