1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
জীবন বাঁচাতে শিখে নিন সিপিআর পদ্ধতি | দৈনিক সকালের বাণী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

জীবন বাঁচাতে শিখে নিন সিপিআর পদ্ধতি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫
  • ১০৩ জন দেখেছেন

অনেকেই হয়তো নাটক ও সিনেমাতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়া মানুষের বুকের ওপর উঠে চাপাচাপি করার পর জ্ঞান ফিরে পাওয়ার দৃশ্য দেখেছেন। বুকের ওপর এই চাপাচাপি করাকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) বলা হয়। সিপিআর পদ্ধতি সবার জানা থাকলে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, হার্টবিট বা নিশ্বাস বন্ধ হওয়া যে কারো জীবন বাঁচানো যেতে পারে।

সিপিআর শুরু করার আগে জ্ঞান আছে কি না আগে নিশ্চিত হতে হবে। যদি জ্ঞান না থাকে দেখুন শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কি না। শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ থাকলে আশ-পাশে মানুষের ভিড় সরিয়ে নিয়ে দ্রুত সিপিআর শুরু করুন। তখন চিৎকার দিয়ে কাউকে ৯৯৯ ফোনকল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আনার অনুরোধ করতে পারেন।

কেন সিপিআর প্রয়োগ দেবেন

৭০-৮০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া বা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে এড়ানো যায় না অনেক প্রাণহানি। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে হৃদস্পন্দন ও রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যক্তি ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে অচেতন হয়ে যায়।

৩০-৬০ সেকেন্ডের মধ্যে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু ঘটে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত সিপিআর ব্যক্তির রক্ত চলাচল ও শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে সাহায্য করে।

যেভাবে সিপিআর দেবেন

সবার উচিত সিপিআর সম্পর্কে ধারণা রাখা। আগে থেকে জানা থাকলে যে কেউ-ই সিপিআর দিতে পারবেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে কারও জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারবেন। প্রথমেই কেউ অজ্ঞান হলে চিৎকার দিয়ে অন্য কারো সাহায্য চাইতে হবে। দুজন হলে সহজে কাজগুলো করা যাবে।

* প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের অবস্থা দেখে নিন। আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো বিপদসংকুল পরিবেশে থাকলে তা দূর করা। যেমন বৈদ্যুতিক তার বা কোনো বিষাক্ত কিছু আশপাশে থাকলে তা সরিয়ে নেওয়া। এরপর দেখতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্ঞান আছে কি না। জ্ঞান থাকলে তাকে স্বাভাবিকভাবে চিত করে শুয়ে দিতে হবে। যাতে তিনি ধীরস্থিরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন।

* জ্ঞান না থাকলে তার শ্বাস নেওয়ার পথ যেমন- নাক, মুখ ও গলার ভেতরের অংশ পরিষ্কার আছে কি না দেখতে হবে। তার মাথা পেছনের দিকে টেনে, থুঁতনি ওপরের দিকে তুলে শ্বাসনালি খুলে দিতে হবে। যদি কফ-রক্ত বা অন্য কোনো কিছু এ পথে আটকে থাকে, তবে তা সরিয়ে শ্বাস নেওয়ার পথ করে দিতে হবে এবং সিপিআর প্রয়োগ শুরু করতে হবে।

* ব্যক্তির একপাশে এসে বুক বরাবর বসে এক হাতের তালুকে বুকের মাঝ বরাবর ও একটু বাম দিকে স্থাপন করতে হবে। তার ওপর অপর হাত স্থাপন করে ওপরের হাতের আঙুল দিয়ে নিচের হাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। হাতের কনুই ভাঁজ না করে সোজাভাবে বুকের ওপর চাপ দিতে হবে। এমন গতিতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন প্রতি মিনিটে ১০০-১২০টি চাপ প্রয়োগ করা যায়। এভাবে প্রতি ৩০টি চাপ প্রয়োগের পর আক্রান্তের মুখে মুখ রেখে দু’বার ফুঁ দিতে হবে। এটাকে বলে রেসকিউ ব্রেথ। এমনভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন বুকের পাঁজর দুই থেকে ২ দশমিক ৫ ইঞ্চি নিচে নামে। যাতে চাপ হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ পড়ে।

* হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বা জ্ঞান ফিরে আসা অথবা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হওয়া পর্যন্ত একইভাবে সিপিআর চালিয়ে যেতে হবে। জ্ঞান ফিরলে বা শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হলে তাকে একপাশে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে পরবর্তী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

ঠিক এই সহজ কাজটি কেউ করলে হয়তো প্রাণ বেঁচে যেতে পারে একটি প্রাণ।

সিপিআর লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলে অনেক ভিডিও পাওয়া যায় সেগুলো দেখেও এই সহজ অথচ জরুরি কাজটি শিখে নিন। জানা থাকলে ভবিষ্যতে আশেপাশের কারো জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )