ফিলিস্তিনের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও নিরীহ জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভাগীয় নগরীর রংপুরে আধাবেলা ধর্মঘটের পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। তবে কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান এবং খাবারের হোটেলসহ জরুরি পণ্যের দোকানপাট ধর্মঘটের আওতামুক্ত ছিল।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত রংপুর নগরীর ছোট বড় বিপণীবিতান, শপিংমল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। ফিলিস্তিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের মদদপুষ্ট কৃত্রিম রাষ্ট্র ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানপাট বন্ধ রেখে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ ও ফিলিস্তিনী শহীদদের জন্য দোয়া কর্মসূচিতে অংশ নেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট আকবর আলী, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানবীর হোসেন আশরাফী, সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রশিদুজ্জামান বুলবুল, জেলা দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলম, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক এমদাদ হোসেন, জুয়েলারী ব্যবসায়ী সমিতির সংগঠক আব্দুল আলীম বুলু, মটরসাইকলে পাটর্স ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমানসহ আরো অনেকে
সমাবেশ থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ইসরায়েলের সকল পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। তারা অবিলম্বে বর্তমান সরকার প্রধানসহ বাণিজ্য উপদেষ্টাকে ইসরায়েলি পণের তালিকা প্রকাশ এবং বাংলাদেশে ইসরায়েলের সকল পণ্য আমদানি বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আধাবেলার ধর্মঘট কর্মসূচিতে রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। এতে রংপুর নগরীর ১৫৬টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবীদসহ জেলার নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।