তথ্য ও সম্প্রচার ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট রেজিমে যেসব ব্যক্তি ফ্যাসিবাদের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা সাংবাদিক, লেখক নাকি বুদ্ধিজীবী আমরা সে বিষয় বিবেচনায় আনব না। তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে খুব শিগগির সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করলেই এ সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদফতর মিলনায়তনে বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক, প্রকাশক, নির্বাহী সম্পাদক ও অন্যান্য অংশীজনের এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য দেন মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহ উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, আজকের পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুল হাসান, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করীম লোটাস, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম গোরা, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, সংগ্রামের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নূরুল আমিন, ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক অশোক কুমার সিনহা, সংবাদের প্রধান প্রতিবেদক সালাম জুবায়ের, ঢাকা মেইলের হেড অব নিউজ হারুন জামিল, ইনকিলাবের ফাহিমা বাহাউদ্দিন শামা, ডেইলি স্টারের মিজানুর রহমান, আজাদীর ওয়াহিদ মালিক, জাগরণের মহিউদ্দিন লিটন, নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানী, জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জু প্রমুখ।
ডিএফপির মহাপরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। সভায় ঢাকা ও বাইরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাত শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনাদের মতামত আমাদের সমৃদ্ধ করবে। বিগত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আমরা শেষদিকে সংবাদপত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম।
নাহিদ বলেন, আমাদের গুম করে ফেলে রাখার সময় পত্রিকা দেওয়া হতো না। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, সংবাদপত্রের অনেকেই ফ্যাসিবাদের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। কিন্তু গণমাধ্যমের যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিলেন তাদের স্বাধীনতা কতটুকু তা ভাবতে হবে। তিনি সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রবীণ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, দলীয় সাংবাদিকের পরিচয় থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সংবাদপত্রের সংস্কারের জন্য কমিশনের কোনো বিকল্প নেই।