মাঠের খেলা ফুটবল। সেই মাঠেই চমক দেখাতে চান বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়া তাবিথ আউয়াল। আজ এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি।
সাবেক এই ফুটবলার ২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালে একই পদে পরাজিত হন। এবার সভাপতি পদে প্রার্থিতা নিয়ে বলেছেন, ‘আমি গত তিনটি নির্বাচন করেছি। এবারও আমি লড়বো। আর সেটা সভাপতি পদে। আমি আশাবাদী জিতবো।’ নির্বাচনী ইশতেহার আরও পরবর্তীতে ঘোষণা করবেন। কাউন্সিলর তালিকা চূড়ান্ত ও নির্বাচনে অন্যদের আগ্রহ জানার পর প্যানেল করবেন। প্যানেলের মতামত নিয়েই তৈরি হবে ইশতেহার,’ এখনো অনেক কিছুর আনুষ্ঠানিকতা বাকি। কারা নির্বাচনে আগ্রহী সেটা জানতে হবে। এরপর সবার সঙ্গে মিলে একটা প্যানেল করা তারপর তাদের মতামতের ভিত্তিতে ইশতেহার। ‘
সপ্তাহ খানেক আগে বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক। ডাকসুর সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকন। আজ তাবিথের সভাপতি প্রার্থীতা ঘোষণার সময় বিএনপির কেউ ছিলেন না। অথচ তাবিথ বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন এবং তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক। তরফদারের অনুষ্ঠানে আমিনুলের উপস্থিতি ও সমর্থন সম্পর্কে তাবিথের মন্তব্য, ‘সে (আমিনুল) একজন সাবেক তারকা খেলোয়াড়। সাফজয়ী দলের সদস্য। তাকে শুধু দলের গণ্ডিতে রাখা ঠিক হবে না। কেউ চাইলে কাউকে সমর্থন দিতেই পারে। এটা উন্মুক্ত বিষয়।’
সাবেক ফুটবলার তাবিথ আউয়াল বাফুফেতে নন। ২০১২-২০ পর্যন্ত দুই মেয়াদে সহ-সভাপতি ছিলেন। ঐ সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বাফুফেকে প্রায় দুই কোটি টাকার ওপর ধার দিয়েছেন। যা তিনি এখনো পাওনা। তাই বাফুফের কর্মকাণ্ড,সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞাত এই সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক। এরপরও ফুটবলকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে চান এই ব্যবসায়ী, ‘ফুটবল বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম ধারক-বাহক। বাংলাদেশে জাতীয় দলে ফলাফল এখনো ভালো না। এরপরও ছেলেমেয়েরা ফুটবল খোজ রাখে। বাফুফের সামর্থ্যে অনেক ঘাটতি আছে ফলে ব্র্যান্ডিং ভালো নয়। ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করার আছে।’ তাবিথ আউয়াল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। ধনী পরিবারের সন্তান হলেও ফুটবলকে ভালোবেসে আরামবাগ, ফেনী সকারে খেলেছেন। ফেনী সকারের পরবর্তীতে নোফেল স্পোর্টিং দল গড়েন। তৃণমূলে আরো কয়েকটি ক্লাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফুটবল সংগঠক, ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতেও সক্রিয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন।