গাইবান্ধার সদর উপজেলায় ছোট ভাই আমিরুল প্রধানের লাথির আঘাতে বড় ভাই আব্দুল মমিন প্রধান (৬২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ছায়েল প্রধান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আব্দুল মমিন প্রধানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্বজনেরা। এর আগে গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলা সাহাপাড়া ইউনিয়নের নয়ন সুখ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মমিন প্রধান এই গ্রামের মৃত আলম উদ্দিন প্রধানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে আব্দুল মমিন প্রধানের সঙ্গে তার দুই সৎ ভাই আমিরুল প্রধান ও আনোয়ারুল প্রধানের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে এই জমি নিয়ে স্থানীয় সালিশে আপোস করাও হয়। পরবর্তীতে দুই সৎ ভাই এই মীমাংসা না মেনে নিয়ে আবার শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আব্দুল মমিন প্রধানের সঙ্গে সেই জমির স্থানে তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে আব্দুল মমিনকে একা পেয়ে পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে আনোয়ারুলের ছেলে আওলাদ মিয়া। তখন আমিরুল প্রধান তার ভাই আব্দুল মমিন প্রধানের পুরুষাঙ্গে বেশ কয়েকবার লাথি মারেন। তারপর ভুক্তভোগীর ছেলে ছায়েল প্রধান বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর শুরু করেন। এছাড়া নিহতের ছেলের স্ত্রী রোকসানা বেগম সেখানে গেলে তার মুখমণ্ডলে আঘাত করলে তার চোখের পাশেও জখম হয়।
এরপর পরিবারের স্বজনরা আব্দুল মমিন প্রধানকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করেন। পরে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গাইবান্ধা সদর থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, নিহতের ছেলে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলার আবেদন করে। এরই প্রেক্ষিত মামলা রুজু হয়। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।