দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনেই এলো ৭শ ৪২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ,তবুও কমেনি দাম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। টনপ্রতি ভ্যাট কমেছে ১৪৫ ডলার। তারপরও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দামে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এতে বিপাকে রয়েছেন সাধারণ মানুষরা।
সোমবার(৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে কম শুল্কে আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে একই মূল্যে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন,আমরা আজকে ভারতীয় পেঁয়াজ আড়ত থেকে পাইকারি ৮০ টাকা কেজি দরে নিয়ে আসলাম, খুচরা বিক্রি করবো ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। আমাদের তো আর করার কিছু নেই। আমরা কম দামে পেলে কম দামে বিক্রি করবো। যেমন কিনবো তেমন বিক্রি করবো।
পাইকারি বিক্রেতারা জানান, শুল্ক কমানোর আগে যখন ভারত থেকে ৪০ শতাংশ শুল্কে এবং ৫৫০ ডলারে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি হতো। তখনও পেঁয়াজ যে দামে কিনতো হতো এখনও সেই দামে কিনতে হচ্ছে । কিন্তু ২০ শতাংশ কম শুল্কে এবং ৪০৫ ডলারে ভারত থেকে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় গত বুধবার থেকে। ডলারের দাম এবং শুল্ক কমলেও আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা। অথচ হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। গতকাল রবিবার এক দিনেই ২৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে তার পরও কমছে না দাম।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা বলেন, ২০ শতাংশ কম শুল্কে এবং ৪০৫ ডলারে ভারত থেকে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গতকাল বন্দরে পেয়াজ বিক্রি করছি আমরা ৭৬ টাকা কেজি দরে। হিলি কাস্টমস সুত্রে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার ও রবিবার দুই দিনে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৪৬ ট্রাকে ১ হাজার ৩শ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।