গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনিকে রিমান্ড না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আলাদত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা কারাগার থেকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আমলী আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে অতিরিক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন রিমান্ড না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও আসামি পক্ষের আইনজীবি জামিন আবেদন করলে আদালত তা স্থাগিত করে দেন। পুলিশের বিশেষ করা নিরাপত্তায় তাকে গাইবান্ধার আদালতে আনা হয়। মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই মাসের বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের সময় গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির নির্দেশে শহরের সার্কুলার রোডে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও ককটেল সাদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে গত ২৬ আগষ্ট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাই বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনিসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত মামলায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭০ জন জামিনে রয়েছেন। তবে কারাগারে আছেন একজন।
মামলার পর গত ১ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে মাহাবুব আরা বেগম গিনিকে গ্রেফতার করে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালত থেকে তিনদিনের রিমান্ডে নেন এমপিকে। রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবি আহসানুল করিম লাছু বলেন, গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির জামিন আবেদন করলে আদালত তা প্রক্রিয়াধীন রেখে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্র পক্ষ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে অসুস্থ্যসহ সার্বিক বিবেচনা করে রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ বিচারক।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ স¤পাদক অ্যাড: মিজানুর রহমান মিজান বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে মদদপুষ্টরা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিচার বিভাগের এ ধরনের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না।