একটা সম্পর্ক সুস্থভাবে গড়ে তুলতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়। সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে বিপদে-আপদে একে-অপরের পাশে থাকা, কথা বলা খুবই জরুরি।
অনেকেই পরামর্শ দেন যে, বিবাহিত বা প্রেমময় সম্পর্কে থাকলে কখনই পরস্পরের হাত ছাড়া উচিত না। বরং একে-অপরের প্রতি নির্ভরশীল হতে হবে। দুজনের মধ্যে আস্থা এতটাই মজবুত হওয়া উচিত, যে কোনোকিছু যাতে গোপন রাখতে না হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সর্বদা অবসর সময় একসাথে কাটাতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য চিন্তা করাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসবের মধ্যেও কিছু জিনিস ব্যক্তিগত এবং বিশেষ, যা সকলকে সম্মান করা উচিত। চলুন জেনে নিন, কেন বিয়ে বা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্পেস গুরুত্বপূর্ণ-
একাকীত্বও গুরুত্বপূর্ণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্গীর সাথে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে কখনো কখনো একজন ব্যক্তির একা থাকতে হয়। সেই মুহূর্ত যখন সে নিজের সাথে কথা বলে, অন্য কারো সাথে নয় এবং তার জীবন বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ভাবে। একা এবং শান্ত থাকা আপনাকে শান্তি দেয়, তাই কিছু ব্যক্তিগত জায়গা দাবি করার কোনো সমস্যা নেই।
পেশাগত জীবন
পেশাগত জীবন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। আপনি আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নিতে পারেন, তবে কখনও কখনও কিছু সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়। অনেকক্ষেত্রে সঙ্গীর হস্তক্ষেপ ঠিক নয়। এর মানে হল, ব্যক্তিগত স্থান পেশাগত জীবনেও সমানভাবে প্রয়োজন।
নিজের পছন্দ
আপনার সঙ্গীর কিছু প্রিয় খাবার, শখ বা ভ্রমণের পছন্দ থাকতে পারে। যা আপনার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনার সঙ্গীকে তার পছন্দ অনুযায়ী চলতে বাঁধা দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ব্যক্তিগত পছন্দে হস্তক্ষেপ। একে অপরের ইচ্ছার যত্ন নেওয়াও সুস্থ সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
মনে রাখা উচিত যে, আপনার সঙ্গী আপনার জন্য নিঃসন্দেহে বিশেষ। কিন্তু এর মানে এই নয় যে অন্যান্য সম্পর্কের কোনো গুরুত্ব নেই। আপনার বাবা-মা, ভাই-বোন, পুরনো প্রতিবেশী, বন্ধুরাও আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সাথে দেখা করার জন্য সময় বের করা ব্যক্তিগত স্থানের অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনারা যদি পরস্পরের ব্যক্তিগত স্পেসে না ঢোকেন তবে বোঝাপড়া নাকি দারুণ হয়। এক্ষেত্রে সঙ্গী বুঝতে পারেন, আপনি তাকে ভীষণ সম্মান করেন। তাই এমন সম্পর্কে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কাও খুব কম।