কুড়িগ্রামের চিলমারীর উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু হয়েছে। এতে নদী সমতল চরের কয়েকশ একর আবাদী জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া গেলো কয়েকদিনের ব্যবধানে এক ইউনিয়নের পাঁচ পরিবারসহ প্রায় শতাধিক একক আবাদী জমি নদীগর্ভে ভেঙে গেছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সমতল এলাকার আমন ধানের ১২২ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পাউবো চিলমারী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য মতে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শুক্রবার বিকাল তিনটায় চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪১ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে আরও একদিন বাড়তে পারে বলে জানানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দার সঙে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী ও কড়াইবরিশাল এলাকায় তীব্র আকারে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার পাঁচ পরিবার সহ শতাধিক একক আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে এবং এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও গত দুই মাসে কমপক্ষে ২০০ পরিবার হারিয়েছেন তাদের বসত বাড়ী। অপর দিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় ওই দুই চর সহ আমতলীর চরের সমতল চর এলাকার ৮০০ একক জমির আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন থেকে ব্রহ্মপুত্র খুব ভাঙছে। এতে শতাধিক একক আবাদী জমি দীগর্ভে গেছে। এছাড়াও পানি বাড়তে থাকায় আমাদের চরে প্রায় ৮০০ একক আমন ধানের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের প্রণোদনার আওতায় বীজ-সার দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। নদী ভাঙনের কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী ভূমি কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত নঈম উদ্দিন বলেন, আমি খোঁজ নিচ্ছি জায়গাটার।