বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক সাথী সম্মেলন নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারী) রাত ৮ টায় শহরের রেলওয়ে মূর্তজা মিলনায়তনে ওই সাথী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে ২০২৫ সালের জন্য নীলফামারী শহর শাখার সেটাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে পুনরায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি হয়েছেন মো. মাজেদুল ইসলাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক, কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক হাফেজ মিসবাহুল করিম, বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. আবির হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. মুক্তাদির বিল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জেলা নায়েবে আমীর ড. হাফেজ খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা আমীর মাওলা হাফেজ মো. আব্দুল মুনতাকিম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা আবু হানিফা শাহ।
ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শাখা সেক্রেটারি মো. মাজেদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সমাবেশে সাবেক জেলা সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, তৌহিদুর রহমান, আহমদ রায়হান, রনজু ইসলাম, ময়নুল
ইসলাম, সাব্বির হোসেন ও নীলফামারী জেলা সভাপতি তাজমুল হাসান সাগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ভোট চোর ও গণহত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। কোন ফ্যাসিস্টকে আর বাংলার ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবেনা। স্বৈরাচার লুটেরাদের জনগণ মেনে নিবে না। দেশকে নিয়ে এখনও গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তবে শিবির থাকাকালে কোন ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র শিবিরের সাথীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করে আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী সরকার জামায়াত ও শিবিরের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের রক্তে ক্যাম্পাসের ঘাস ভিজেছে। আর এ কারণে আল্লাহ তায়ালা শহীদের নজরানা স্বরূপ ২৪ এর বিজয় দান করেছেন। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যূত্থানে সকল দেশপ্রেমিক ছাত্র ও জনতার ব্যাপক অবদান রয়েছে। ঐকবদ্ধ জাতি গঠন করে
দেশকে প্রকৃত অর্থে সমৃদ্ধশালী ও কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।
এ জন্যই আর কোন ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার লুটেরা ও হত্যাকারীদের দেশের দায়িত্বভার দেয়া যাবে না। এ লক্ষ্যে ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করে চুড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। শিবিরের সেক্রেটারী সাদ্দাম আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দেশকে ধ্বংসকরে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। যা আমরা বিগত শাসনামলে প্রত্যক্ষ করেছি। দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এসময় অবশ্যই আমাদেরকে দেশের স্বার্থে সচেতনার সাথে কাজ করতে হবে। যাতে করে কোনভাবেই দেশ বিরোধী শক্তি নতুন করে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার কোন সুযোগ না পায়।
তাই যে কোন পরিস্থিতির জন্য ছাত্রশিবিরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ ছাত্রশিবিরের উপরই দেশের মানুষ আস্থা রাখছে। এই আস্থার সম্মান বজায় রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সাথী সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বাক্ষরিত ব্যালট পেপারে সাথীদের প্রত্যক্ষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল মো. নুরুল ইসলাম সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম এর নাম সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন এবং পরে নবনির্বাচিত সভাপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। সদস্যদের পরামর্শে নবনির্বাচিত সভাপতি শাখা সেক্রেটারি হিসেবে মাজেদুল ইসলামকে মনোনীত করেন।