1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
কাউনিয়ায় সরকারি হাসপাতালে টর্চ-মোবাইলেই বিদ্যুৎ ছাড়া ভরসা!  | দৈনিক সকালের বাণী
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

কাউনিয়ায় সরকারি হাসপাতালে টর্চ-মোবাইলেই বিদ্যুৎ ছাড়া ভরসা! 

সাইফুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর)
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯২ জন দেখেছেন
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। প্রায় চার লাখ  জনগণের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে ৫০ কেভি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর থাকলেও অজানা কারনে  ৩ বছর  সন্ধান মিলছে  না, কোন কারণে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ চলে গেলে  মোবাইল ও টস লাইট এর আলোতে সেবা নিতে আসা রোগীদের ড্রেসিং ও সেলাই করতে হয়,  এছাড়া ভিতরে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর প্রচুর ভীড়, তবে বিদ্যুৎ নেই। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,  কোন কারনে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় লোডশেডিংয়ের সময় রোগীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে স্বজনদের দেখা গেছে হাতপাখা, কাগজ ও কাপড় নাড়িয়ে বাতাস করতে। রোগীর স্বজনরা জানান, বিদ্যুৎ যখন চলে যাচ্ছে তখন হাতপাখাই তাদের ভরসা।রতাদের দাবি, হাসপাতালে রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য কোনো উপায়ে ফ্যান গুলো চালানোর ব্যবস্থা করা, যাতে অন্তত রোগীদের কষ্ট কিছুটা কমে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  প্রায় ৪ লাখ মানুষ অধ্যুষিত এ জনপদের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এই হাসপাতালের জেনারেটরটি প্রায় ৩ বছর ধরে অজ্ঞাত কারণে মেরামতের  জন্য  দেওয়া হলেও সন্ধান মেলেনি তার,,এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি মেরামত করার জন্য তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে হাসপাতালে আগত রোগী ও স্থানীয়রা জানান।রোগীর স্বজনরা জানান, প্রতিদিন কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়, এসময় শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নানা বয়সের রোগীদের খুব কষ্ট হয়। হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার চেয়ে গরমে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাদের রোগীরা। তারাও ভোগান্তিতে পড়ছেন। রোগীদের স্বস্তির জন্য যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তা নাড়িয়েই বাতাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
ভুতছাড়া থেকে আসা হাসান মিয়া, চিকিৎসা নিতে আসা রোগী রুবেল মিয়া বলেন, হাসপাতালে   আসার পর ইমারজেন্সি বিভাগে  শিলাই দিতে গিয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চলে যায়, পরে মোবাইলে টর্চলাইট এর আলোর মাধ্যমে সেলাই ও ড্রেসিং করা হয়, তাছাড়া দিনের বেলায়  ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং হয়। এ সময় গরমে আরও অসুস্থ বোধ করি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজয় সাহার কাছে  জেনারেটর বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি জানান,  হাসপাতালে একটি বড় জেনারেটর  আছে তেল এবং সামান্য সার্ভিসিং এর মাধ্যমে তা ব্যবহার করার উপযোগী হবে, এছাড়া আমি জয়েন করার ৮ মাস পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি হাসপাতালে  আরও একটি জেনারেটর রয়েছে, সেটিকে আবার ফেরত আনা হয়েছে, সেই জেনারেটরটি এতদিন কোথায় ছিল কি সমস্যা বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )