সম্পর্কে বিচ্ছেদ কারোই কাম্য থাকে না। সম্প্রতি বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে আইনত বিচ্ছেদের সংখ্যা। দীঘদিনের সম্পর্কে হঠাৎ করেই বেজে উঠে বিচ্ছেদের সুর। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারে না কী ভাবে সম্পর্ক সামলালে বিচ্ছেদ ঠেকানো যায়।
বিয়ের সম্পর্ক স্থায়ী করতে মেনে চলুন ছোট কিছু টিপস-
সম্পর্কে যখন দু’জনের অনুভূতি, মতামত, সিদ্ধান্ত একেবারে ভিন্ন পথে যেতে থাকে, তখন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্ন ওঠেই। তবে ভুল বোঝাবুঝি যাতে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ না করে, সেজন্য খোলাখুলি কথা বলা জরুরি। শুধুমাত্র কথা বলা হয় না বলেই অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়। তাই মনের কথা বলে ফেলা জরুরি।
জন্ম সূত্রে পাওয়া সম্পর্ক ছাড়া, অন্য কোনও সম্পর্ক থেকে নিশ্চয়তা আসা করা বোকামি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের স্থায়িত্ব নির্ধারিত হয়। স্বপ্ন দেখা দোষের নয়। তবে বাস্তবের মাটিতে পা রাখাটাও জরুরি।
সম্পর্কে চাহিদা থাকবেই। কিন্তু চাওয়া এবং পাওয়ার মাঝে যে সব সময় মিল থাকবে, তার কিন্তু কোনও মানে নেই। সব সময় চাহিদা অনুযায়ী প্রাপ্তি হয় না। তাই এই দুটির ভারসাম্য নিয়ে সচেতন থাকতে পারলে ভালো। তাতে মনের কষ্ট অনেকটাই কমবে।
প্রতিটি পরিবার, এলাকা-বা নিজের ধর্মের কিছু নিজস্ব সংস্কৃতি বা প্রথা থাকে। এগুলোর প্রতি সম্মান দেখান।
দিনের যেকোনো একটা বেলা অবশ্যই একসঙ্গে খাবার খান। সুযোগ থাকলে এক প্লেটে খান।
সারাদিনের জন্য আলাদা হয়ে কাজে যাচ্ছেন। প্রিয়জনকে এমনভাবে বিদায় জানান, যেন তিনি দ্রুত আপনার কাছেই ফিরতে চান।
প্রিয় মানুষটার জন্য একটু ছাড় দিন। ধরুন আপনার সব কিছুই একদম পারফেক্ট চাই। কিন্তু সঙ্গী ব্যস্ত থাকেন বা তার হয়ত শরীর বা মন খারাপ। কিছু কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না, দিন না একটু ছাড়, নিজেরাই ভালো থাকবেন।
বিয়ের পরে একটা সময় পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক যদিও বেশ গুরুত্ব পায়। তবে এটাই একমাত্র চাওয়া নয়, দিনে দিনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেক রক্তের সম্পর্ককেও ছাড়িয়ে যায়।
একটি সম্পর্ক তৈরি হয় ভাঙার জন্য নয়। বিয়ে টিকে থাক সুন্দর সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে, সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত।