নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে রেললাইন কেটে চুরির চেষ্টা মামলায় রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) মো. সুলতান মৃধাকে  এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  বুধবার (২৫ জুন) সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আবারও নীলফামারী কারাগারে প্রেরণ করেছেন।

এর আগে মামলার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৈয়দপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। গত মঙ্গলবার আদালত তাঁর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর  পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেলে তাঁকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রশীদ থানায় নিয়ে আসেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উন- নবী জানান, মামলায় এসএসএই সুলতান মৃধা প্রধান আসামী। তবে ওই মামলায় যেহেতু অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জন আসামী রয়েছে। তাই তাদের বিষয়ে তথ্য জানতেই সুলতান মৃধাকে রিমান্ডে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে  অনেক তথ্য মিলেছে। তবে মামলার অধিক তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন দিবাগত রাতে সৈয়দপুরে রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) কার্যালয়ের গোডাউন ও ইয়ার্ডে রাখা রেললাইনের পাত গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে চুরি করে চোরাই পথে বিক্রির উদ্দেশ্য রাখা হয়। পরে ঘটনাটি চাউর হয়ে পড়লে ওই দিনই  বেলা তিনটায় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ঘটনার বিষয়ে তদন্তে আসেন। তিনি তদন্তে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রেলওয়ে উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী সুলতান মৃধাকে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহযোগিতায়  আটক করে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পার্বতীপুরস্থ সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মো. তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সুলতান মৃধার বিরুদ্ধে চুরি চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ১৯ জুন রাতে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে প্রেরণ করেন। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত গত মঙ্গলবার তাঁর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।