


লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে কদিন আগেই। ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে এবার প্রীতি ম্যাচের মিশনে দলগুলো। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এশিয়ান সফরের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়। ম্যাচটি ঘিরে কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাওয়া ছিল দাপুটে ফুটবল। সেলেসাওরা তাতে সাড়া দিলো দারুণভাবেই।

ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর দিকে পাস দেন তিনি। কিন্তু রিয়াল ফরোয়ার্ড পাস না ধরে সুযোগ করে দেন ক্যাসেমিরোকে, নিজে উঠে যান একটু ওপরে। ক্যাসেমিরো প্রথম স্পর্শেই তাকে বল বাড়িয়ে দেন। রদ্রিগো বল নিয়ে আর ভুল করলেন না। দুই ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে কোনাকুনি শটে বল পাঠিয়ে দেন জাল বরাবর।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ঙ্কর ব্রাজিলের দেখা মিলল। স্রেফ দুই মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল আদায় করে নেয় সেলেসাওরা। প্রথমে এস্তেভাওয়ের গোল, এরপর রদ্রিগো। ৪৭তম মিনিটে ডি-বক্সের বাম দিকে ডিফেন্ডার কিম মিন-জে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে এস্তেভোর পায়ে মেরে বসেন। আর বল ধরে ক্ষীপ্রতায় এগিয়ে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন চেলসি ফরোয়ার্ড।

এরপর ৪৯তম মিনিটে ক্যাসেমিরো বল বাড়িয়ে দেন ভিনিসিয়ুসকে, ভিনি দেন ফাঁকায় থাকা রদ্রিগোকে। ছোট শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে স্কোরলাইনে নিজের নাম তোলেন ভিনিসিয়ুস। কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝমাঠে দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিকে লম্বা পাস দেন ম্যাথিউস কুনহা। টানা পাসে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়েই দলের পঞ্চম গোল আদায় করে নেন রিয়াল তারকা।