জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করলেও দেশের মানুষ এখনো তার প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা পুরোপুরি ফিরে পায়নি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ছিল সবার জন্য সমান অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা। কিন্তু সমাজে এখনো বৈষম্য, অবহেলা ও অন্যায় বিরাজ করছে। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে একাধিক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে তৃণমূল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা জানতেই তিনি এই গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
আখতার হোসেন বলেন, ‘আজও আমাদের দেশে ধনী-গরিবের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। কেউ বৈধভাবে ধনী হয়েছে, কেউ অবৈধ পথে। কিন্তু গরিব মানুষ এখনো বঞ্চিত। যোগ্যতা ও সততা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সম্পদের অভাবে যদি একজন মানুষকে কোনো জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা স্বাধীন বাংলাদেশের আদর্শ নয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না, যেখানে মানুষের মর্যাদা টাকার মাপে নির্ধারিত হয়।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ও সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এই আন্দোলনের কারণে বহুবার জেল-জুলুম, নির্যাতন ও রিমান্ডের মুখোমুখি হয়েছি। সব কষ্ট সহ্য করেছি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, যেন তারা অন্যায় ও জুলুম থেকে মুক্তি পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশীর হক সবার আগে। আমি জনগণের মধ্য থেকেই উঠে এসেছি, তাই জনগণের সমস্যাই আমার সমস্যা। এসময় তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আমার পাশে থাকুন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি— উন্নয়নবঞ্চিত প্রতিটি অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন করা হবে। এনসিপি বিশ্বাস করে, জনগণের শক্তিই দেশের আসল শক্তি। স্থানীয়রা জানান, আখতার হোসেনের এই গণসংযোগে সাধারণ মানুষ উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেয়। কান্দির কৃষক আবদুল জলিল বলেন, ‘নেতার কথায় আন্তরিকতা আছে। যদি এমনভাবে কাজ করেন, তৃণমূলের মানুষ নিশ্চয়ই পাশে থাকবে। উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি পীরগাছা উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএ মিজানুর রহমান ছানাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত ১ জুলাই রংপুরের কাউনিয়া বাস¯ট্যান্ডে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রাথ পথসভায় দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রংপুর-৪ (পীরগাছা–কাউনিয়া) আসনে আখতার হোসেনকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।