


মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা ফেরত চাওয়ায় রশিদুল কাজী নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে ৫ নং সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত পাইলটকে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা।
এর আগে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উক্ত মারধরের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় রশিদুল কাজী গুরুতর অসুস্থ হলে বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করান। রশিদুল কাজী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর সরকারপাড়া গ্রামের ইউনুস কাজীর ছেলে।
জানা গেছে, রশিদুল কাজীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম প্রায় দেড় বছর আগে গর্ভবতী হলে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য। সে সময় চেয়ারম্যান তার স্ত্রীর মাতৃত্বভাতা করে দেয়ার জন্য আট হাজার টাকা বিভিন্ন খরচের জন্য দিতে হবে বলে জানান। চেয়ারম্যানের কথামতো রশিদুল আট হাজার টাকা দেন। দীর্ঘ দিন সেই টাকা ফেরত দিতে টানবাহানা করলে গত মঙ্গলবার বিকালে রশিদুল সয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে টাকা ফেরত নেয়ার জন্য গেলে চেয়ারম্যান পাইলট রশিদুলকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বেধরকভাবে মারধর করেন। মারধরে রশিদুল অসুস্থ হলে চেয়ারম্যান স্থানীয় চিকিৎককে ডেকে এনে চিকিৎসা দিয়ে রশিদুলকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গুরত্বর অসুস্থ হলে বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে রশিদুল ইসলাম হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের দুই নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রশিদুল কাজী ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাকে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বললে সে আমার ওপর চড়াও হয়। সেই সময় আমি তাকে দুই তিনটা চর-থাপ্পড় দেই। এসময় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসক নিয়ে এসে চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা বলেন, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত পাইলটকে শোকজ করা হয়েছে। দ্রুত সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।