1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে পালনে অবহেলা, নিয়ম ভেঙেই কাজ করছেন ডা. সুপ্রীতি সাহা | দৈনিক সকালের বাণী
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন

কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে পালনে অবহেলা, নিয়ম ভেঙেই কাজ করছেন ডা. সুপ্রীতি সাহা

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৬০ জন দেখেছেন

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. সুপ্রীতি সাহা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে হাসপাতালে সিজারিয়ান ছোট খাটো অপারেশনসহ সার্বিক সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ডা. সুপ্রীতি সাহা ২৬-০৯- ২০২১ সালে যোগদানের পর থেকে সপ্তাহে মাত্র ৩/৪ দিন অফিসে আসেন। বেশির ভাগ সময়ই তিনি অনুপস্থিত থাকেন, কালেভাদ্রে যদিও অফিসে আসেন সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কর্তা ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে অফিস সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন।

কিন্তু হাজিরা খাতায় প্রতিদিনের উপস্থিতি স্বাক্ষর রয়েছে তাঁর। এর ফলে জরুরি সেবা, বিশেষ করে প্রসূতি মা ও অপারেশন-সংশ্লিষ্ট চিকিৎসায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“ডা. সুপ্রীতি সাহা (অ্যানেসথেসিয়া)নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও অধিকাংশ সময় অফিসে থাকেন অনুপস্থিত। এতে হাসপাতালে রোগী সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।” অভিযোগ রয়েছে, গত এক বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কমে গেছে অর্ধেকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একসময় যেখানে বছরে ১০৭ জন প্রসূতি মা স্থানীয়ভাবে সেবা পেতেন, এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৫০ থেকে ৬০ জনে। সুত্রে জানাগেছে, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বহীনতা ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনেক গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে, যা বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। একজন রোগীর স্বজন রুমা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার থাকলেও তারা দায়িত্ব পালন করেন না। গরিব মানুষ সিজার করাতে এসে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।”

এছাড়া বর্তমানে একজন গাইনি চিকিৎসকের মাধ্যমে দুটি উপজেলার সিজারিয়ান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও স্বজনরা বিপাকে পড়ছেন। যদিও দুই উপজেলার দায়িত্বে থাকার পরেও সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে তিনি কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত রোগী দেখছেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,“চিকিৎসক যদি নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকেন, তা হাসপাতালের সেবার মানে বড়বড়ো
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. সুপ্রীতি সাহার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসানের কাছে শনিবার হাসপাতালে “ডা. সুপ্রীতি সাহার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজয় সাহার কাছে শনিবার হাসপাতালে ডা. সুপ্রীতি সাহার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে কোনো ছুটির বিষয়ে মৌখিক কিংবা লিখিত ভাবে জানাননি। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে তার বিষয়ে একাধিক বার বলা হলেও তিনি শুধু বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও অদ্যবধি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )