পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় জমি দখল দ্বন্দে একই নামে দুই ফোরকানিয়া মাদরাসা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের খারিজা ভাজনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে কোট ভাজনী উঙ্কুপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আলম আলী কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, মাদ্রাসার যেই জমিটি নিয়ে দ্বন্দ সেই জমিটি মরহুম আমির উদ্দিন উঙ্কুপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে দান করেন যাতে উঙ্কুপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসাটি বড় আকারে নির্মাণ করা হয় এবং তার পরিকল্পনায় ছিলেন উঙ্কুপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার কমিটি। কিন্তু এরই মধ্যে অভিযুক্ত গণ উক্ত জমিতে আলাদা ভাবে একই নামে অর্থাৎ উঙ্কুপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে আরেকটি মাদ্রাসা নির্মাণে বিভিন্ন সময় পায়তারা করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের ঝামেলা হয়েছে বারংবার।
এমতাবস্থায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ১২ টার সময় অভিযুক্তরা সহ আরো ১০/১১ উক্ত জমিতে পরিকল্পিত ভাবে উঙ্কুপাড়া মাদ্রাসার নামে একটি ঘর নির্মাণ করেন। পরে উঙ্কুপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার কমিটির সদস্যরা বাঁধা প্রদান করতে আসলে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে এড়াতে দুই পক্ষই ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন। পরে আর উপায় না পেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আলম আলী এই অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তগণ হলেন, খারিজা ভাজনী কাজীপাড়া এলাকার মৃত নবীর হোসের ছেলে মোঃ রুবেল ইসলাম (৩৬), মোঃ রাসেল ইসলাম (৪৪), মোঃ সোহেল ইসলাম (৩৮), ওই এলাকার মৃত তসলিম উদ্দিন এর ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৮)এবং কাচুয়ার ছেলে দুলাল হোসেন (৪৪) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১১ জন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত উংকুর পাড়া ফোরকানিয়া মাদরাসার সাইনবোর্ড লাগানো একটি মসজিদে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের হাতে রয়েছে বই। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করতে দেখা গিয়েছে।
অপরদিকে কাজীপাড়া এলাকায় উল্লেখিত দানের জমিকে একই নামে আরো একটি মাদরাসার নতুন টিনের ঘর লক্ষ করা গিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত গণ বলছেন ভিন্ন কথা, তারা জানায় মাদ্রাসার আসল কমিটির সদস্য তারা। জমির লীগ্যাল কাগজ রয়েছে তাদের কাছে। মাদ্রাসা কোথায় নির্মাণ করা হবে সেটা তারা নির্ধারন করবেন।
এনিয়ে উভয় পক্ষই নিজেদের সঠিক প্রমান করাতে দেখিয়েছেন তাদের সংগ্রহের কাগজ ও মাদ্রাসার নামে বিদ্যুৎ এর বিল।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, এলাকায় একই নামে দুই মাদরাসা, কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝা দায়। প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ করেন তারা।