বয়সের সঙ্গে ওজন বাড়ে, এ কথা হয়তো অনেকেই বলেন। আর ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে পেটের মেদ বেড়ে যাওয়া যেন খুবই স্বাভাবিক। পেটের মেদ বেড়ে গেলে হয়তো কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এতে শরীরের সৌন্দর্যও হারিয়ে যায়। তাই মেদ কমাতে হলে আগে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে পেটের মেদও কমানো সম্ভব। তবে এজন্য সঠিক খাদ্যাভাস আর ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
অনেকেই নানা উপায়ে মেদ কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু শাকসবজি খেলেও মেদ কমতে পারে। এবার তেমনই কিছু শাকসবজি নিয়ে আমাদের আলোচনা।
শসা: শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। আর এটি ত্বক সতেজকারক সবজি। শসায় ক্যালরির পরিমাণও কম। এটি দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে। ‘জার্নাল অব হিউম্যান নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিকস’-এর গবেষণায় দেখা গেছে, শসা পানিসমৃদ্ধ খাদ্য হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়ক। আর সালাদ হিসেবেও শসা খুবই জনপ্রিয়। তাই পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
ফুলকপি: ফুলকপি পানি ও ফাইবারের ভালো উৎস। এতে আঁশ বেশি হওয়ায় ক্যালরি কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়েটারি ফাইবারগুলো প্রতিরোধক্ষমতা এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া এটি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ সহায়ক। আর ফুলকপিতে ইনডোলের মতো বেশ কয়েকটি যৌগ আছে। এসব যৌগ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে ও পেটের মেদ কমায়। আবার ভাতের বিকল্প হিসেবেও ফুলকপি খাওয়া যায়।
গাজর: গাজর পেটের চর্বি কমাতে বেশ কার্যকরী। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকলেও আঁশ বেশি থাকে। আর গাজরে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে। ‘নিউট্রিশন’ নামের জার্নাল থেকে জানা যায়, গাজর খেলে ক্ষুধাভাব লাগে না ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
করলা: তেতো স্বাদের কারণে করলা অনেকে পছন্দ করেন না। তবে ত্বকের জন্য চিকিৎসক এই করলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর এই সবজির উপকারিতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। করলার যৌগগুলো ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত করলা খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে ও পেটের মেদ কমে। তাই রান্না করা খাবার বাদেও মেদ কমাতে আপনি করলার জুস খেতে পারেন।