সারা দেশের ন্যায় রংপুরের তারাগঞ্জেও পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতায় পিপিআর রোগের টিকা কার্যক্রমের ক্যাম্পাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ইকরচালী ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে টিকা কার্যক্রম ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ০১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ হাজার ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর টিকার আওতায় আনা হবে। পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগল-ভেড়ার শরীরের তাপমাত্র হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায়। ছাগলের নাক, মুখ, চোখ দিয়ে প্রথমে পাতলা তরল পদার্থ বের হয়। পরবর্তীতে তা ঘন ও হলুদ বর্ণ ধারণ করে। অনেক সময় অসুস্থ প্রাণীটির মধ্যে মারাত্মক রকমের ডাইরিয়া দেখা দিতে পারে। অসুস্থ প্রাণীটির ওজন হ্রাস পায়। পিপিআর আক্রান্ত ছাগলে, অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অসুস্থ হওয়ার পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে প্রাণীটি মারা যেতে পারে। পিপিআর রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে ২য় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়ার এবং পরজীবী সংক্রমণ রোধ করে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়।
এ সময় ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ কে.এম ইফতেখারুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ আকতারুল ইসলাম, ভিএফএ ফিরোজ হোসেন, এলএফএ মহোসিন আলীসহ ইকরচালী ইউনিয়নের ভেক্সিনেটরগন।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ কে.এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনেক সেবা আছে। কিন্তু জনবল অভাবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সেভাবে পৌছাতে পারি না। গরিবের একটি ছাগল একটি গরুর সমান। যার একটি ঘর সেও চৌকির নিচে ছাগল পালন করে। আর পিপিআর রোগ ছাগল ও ভেড়ার হয়। তাই পশুপালনকারীদের সচেতন থাকতে হবে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হব। ভাইরাস জনিত এসব রোগের নিয়মিত টিকা নিতে হবে। সারাবছর আমাদের হাসপাতালগুলোতে পিপিআর রোগের টিকা পাওয়া যায়। নিয়মিত প্রতি ছয় মাস পরপর ছাগল-ভেড়াকে টিকা দিতে হবে। ০১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ হাজার ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর টিকার আওতায় আনা হবে।
Related