চিরিরবন্দর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এর আমীর মো: রাশেদুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার সাবেক আমির মো: আফতাব উদ্দিন মোল্লা সহ চিরিরবন্দর উপজেলার জামায়াতে ইসলামী এর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ সহ চিরিরবন্দর উপজেলা ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন।এদেশের মানুষের মুখে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদেশের মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারিনি।
এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়েঁ নেওয়া হয়েছিল। এদেশের মানুষের বাঁচার অধিকার ছিল না। দেশের মানুষ আদালতে বিচার পেত না। এদেশের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষ করে চাকুরী পেত না। এমন একটি দেশ আমরা পেয়ে ছিলাম। এ দেশ যারা চালিয়ে ছিলেন তারা মুক্তি যোদ্ধার চেতনার কথা বলেছিলেন।
আমিও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি একটি কথা বলতে চাই।সর্বশেষ এই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতের সম্মানিত প্রাধান মন্ত্রী বাবু নরেন্দ্র নাথ মুদি।তিনি বলেছিলেন যে ১৬ ডিসেম্বর বাংলা দেশের বিজয় দিবস নয়, ভারতের বিজয় দিবস, তিনি সেনাবাহিনী সহ ভারতের জনগনকে বিজয় দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে আমার প্রশ্ন হলো আওয়ামীলীগ তখন কোথায় ছিলো।
প্রিয় বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে স্বীকার করে না। আজ তাদের কোলে ঠাই নিয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষকে বলবেন মুক্তি যোদ্ধার চেতনার কথা। আপনার কথার সাথে চেতনার কোন মিল নাই। আপনার আমলের সাথে চেতনার কথা মিল নাই। আপনাদের আমলে বাংলাদেশকে অন্য দেশের হাতে বন্দক রেখে ছিলেন।
আমরা ফিন্নির হাত থেকে মুক্ত হই নাই দিল্লির হাতে বন্দী হওয়ার জন্য। এদেশের মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়।এটি আমাদের অধিকার। ৫৩ বছর জাতিকে পক্ষ – বিপক্ষের কথা বলে সংখ্যা গুরু- সংখ্যা লঘুর মধ্যে সংঘাত লাগিয়ে আপনার এই জাতির ক্ষতি সাধন করিয়েছেন।অবশেষে আপনারা বলিছেন উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে জাতিকে তুলে এনেছেন।বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসাবে পরিচিত।
এখন উন্নয়ন এর সব কিছু বের হয়ে আসতেছে।বস্তা বস্তা টাকা পাচার হয়েছে দেশের বাহিরে।এক- দুই লক্ষ্য টাকা নয় ২৬ লক্ষ্য কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।এত যদি চুরি করবেন। তাহলে এত বড় গলায় কথা বলেছিলেন কেন?চোরের মার বড় গলা। একথাটি চিরন্তর সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে।আর সারা দেশে গুম হত্যা নির্যাতন ও হাজার হাজার লাশের মিছিল।
কোর আনের পাখি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির উপর জুলুম করে হত্যা কান্ডের মামলার রায় দেওয়া হয়েছিল।সাড়া দেশের মতো আপনারাও বিস্ফোরণ এর মতো হেঁটে পড়েছিলেন।
আপনাদের তিনটা সন্তানকে নির্রমন ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। শহীদ মোজাহিদ,শহীদ মতিয়ার,শহীদ ময়েনউদ্দিন। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শহীদী মর্যাদা হিসাবে কবুল করুক। আমিন।