1. onlinesokalerbani@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. iqbalbarabil80@gmail.com : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. sharifuzzamanmdiqbal@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
খানসামায় জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত দুর্বিষহ জনজীবন | দৈনিক সকালের বাণী
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন

খানসামায় জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত দুর্বিষহ জনজীবন

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯১ জন দেখেছেন

উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামায় টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। তিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। রাতের হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজও তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও রাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।

 

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে মঙ্গলবার এ জেলায় দেশের তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা না থাকলেও বইছে হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান, কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

ভ্যানচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এত সকালে বের হয়ে কোন লাভ নাই। এমনিতে যে ঠান্ডা বের হতে মন চায় না। সকালে লোকজনও কম। তাই ইনকামও কম।’ দিনমজুর শাহিনুর ইসলাম বলেন, সকালে একদম কাজে যেতে মন চায় না, দুই দিন ধরে সূর্যই উঠে না। কি যে এক জ্বালায় আছি।

 

কৃষক আব্দুল মতিন জানান, ‘রসুন লাইগিয়েছি। কয়েকদিন আগে দিনের তাপে পুড়ে যেতে ধরেছিল। এখন রোদ না থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে আছি। দেখা যাক কি হয়।’ চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নূর আমিন বলেন, দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এই অবস্থায় জ্বরে ভুগছি। সেই সাথে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা তো আছেই। এই আবহাওয়ায় চরম বিপাকে আছি। দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চার দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের সেই সাথে হিমেল হাওয়া। জেলায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২% এবং গত ২৪ ঘন্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )