পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন গাইবান্ধা (ফুলছড়ি – সাঘাটা) ৫ আসনের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার এ্যাড ফজলে রাব্বী মিয়ার আস্থাভাজন হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে ফুলছড়ি উপজেলার যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদে ছিলেন। ডেপুটি স্পিকার মারা যাওয়ার পর নিজের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ওই আসনে সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপনের আস্থা অর্জন করেন এবং যুবলীগের পদকে কাজে লাগিয়ে কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হন।
এছাড়াও আ’লীগ ক্ষমতা থাকা কালীন এলাকায় বিরোধী মতের মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছিলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজকে দুর্নীতির আস্থানা বানিয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলন দমানোর জন্য সর্বোচ্চ ভুমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি আ.লীগ কে সক্রিয় করার জন্য গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর নিজেকে বাচাঁনোর জন্য গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুলকে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বানান।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ডেভিল হার্ন্টের অংশ হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে নানা ভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাকে আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। এ অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে।