শুক্রবার (২৮ মার্চ ) দুপুরে স্থানীয়রা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় খানসামা উপজেলার ৪ নং খামারপাড়া ইউনিয়নের জুগীর ঘোপা গ্রামের গুরিয়া পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন— খানসামা উপজেলার ৪নং খামারপাড়া ইউনিয়নের জুগীর ঘোপা গ্রামের মৃতঃ ছাত্তার আলীর ছেলে আবু তাহের (৫৫),তার স্ত্রী তাহেরা বেগম (৪৫) ছোট ভাই তৈয়ব আলী (৩৫) ও শাহজাহান আলী (২৫), ভাগিনী রেজোয়ানা খাতুন (১৬) ও ছোট ভাই তৈয়বের স্ত্রী জয়নব বেগম(২৮)।
আর অভিযুক্তরা হলেন— একই গ্রামের মৃতঃ হাচান আলীর ছেলে নুরুজ্জামান ও রমজান আলী, নুরুজ্জামানের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাগর ও স্ত্রী বুলবুলি বেগম এবং মৃতঃ মনছেদ আলীর স্ত্রী আকলিমা বেগম।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত আবু তাহের বাদী হয়ে খানসামা থানায় এজাহার দিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবু তাহেরের ছোট ভাই তৈয়ব আলীর মরিচ ক্ষেত ছাগল দিয়ে নষ্ট করায় তৈয়ব আলী ক্ষেত থেকে ছাগল তাড়াইয়া দিয়ে বাদীর বাড়ীর উত্তর পশ্চিম দিকে অনুমানিক ২০০ গজ দুরে পৌঁছামাত্রই ইতিপূর্ব হতে ওত পেতে থাকা আসামীরা ষড়যন্ত্র মূলক ও পূর্বশত্রুতার জের ঘরে বিভিন্ন প্রকার ধারালো অস্ত্র ছোড়া সহ লাঠিসোটা লোহার রড হাতে নিয়ে তৈয়ব আলীকে জোরপূর্বক আটক করেন। এসময় আসামীদের সহিত তৈয়ব আলীর সামান্য তর্কবিতর্ক হয়।
তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে নুরুজ্জামান ও রমজান আলী তৈয়ব আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেপরোয়া ভাবে চড় থাপ্পর কিলঘুষি মারে ও ধাক্কাধাক্কি করে ত্রাস সৃষ্টি করেন এমনকি নুরুজ্জামান লাঠি দিয়ে তৈয়ব আলীর দুই পায়ে সজোরে আঘাত করে হাড়ভাঙ্গা জখম করেন। সেই সময় তার সোরগোলে ও আত্মচীৎকারে রক্ষার জন্য বড় ভাই আবু তাহের তার স্ত্রী তাহেরা বেগম, ছোট ভাই শাহজাহান আলী,ভাগিনী রেজোয়ানা খাতুন,ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জয়নব বেগম ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসলে, আসামীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেপরোয়া ভাবে মারডাং করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালসিরা ফুলা ও ছিলা জখম গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহতরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।