উপজেলা পরিষদ চত্বরের উত্তর পাশে মনোরম পরিবেশে উপজেলার মধ্যে প্রথম ও একমাত্র শিশু বিনোদন কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছিলেন (সাবেক) খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ মাহবুব-উল ইসলাম।
এই শিশু পার্কটিতে শিশুদের চিত্তবিনোদনে বিভিন্ন খেলনার পাশাপাশি মেধা বিকাশের নিমিত্তে পরিকল্পিতভাবে সাঁজানো পার্কটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে প্রতি দিনেই দর্শনার্থীরা ভিড় করে। সারা বছরের থেকে ঈদের সময় তুলনামূলক ভ্রমন পিপাসু মানুষদের উপচে পরা ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিন ঈদের দিন বিকেলে শিশু পার্কটি ঘুরে দেখা গেছে, পার্কের ভিতরে থাকা দোলনা, রাউন্ড দোলনায় উঠে কেউবা তুলছেন সেলফি, কেউবা নিজ ও প্রিয়জনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন নিজের মোবাইল ফোনে। এছাড়াও পার্কের ভেতরে থাকা বিভিন্ন পশু পাখির সাথেও তুলেছেন ছবি ও সেলফি। এদিকে শিশুদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন দেখা যায়। এ সময় শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে শিশুপার্কটি। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেছে শিশুরা।
উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন থেকে বিনোদন কেন্দ্র শিশু পার্কে বেড়াতে এসেছেন আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে ভালোই লাগছে। শিশুদের বেশ কিছু রাইড আছে যেখানে তারা আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
এ ছাড়াও উপজেলার আত্রাই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর “আত্রাই রিভার ভিউ পয়েন্ট”।
এ পর্যটন কেন্দ্রটি প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি আদর্শ স্থান। নদীর স্রোত, চারপাশের সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য, এবং নির্মল বাতাস এখানে আসা দর্শনার্থীদের মনে স্বস্তি ও প্রশান্তি এনে দেয়। স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এখানে ঘুরতে আসে, বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের দিনে এখানকার পরিবেশ আরও উৎসবমুখর হয়ে ওঠেছে।
এমনকি ভিউ পয়েন্টের কাছে আত্রাই নদীর উপর দুটি সুন্দর ভাসমান রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। বাঁশ ও কাঠের তৈরি এই রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় সুস্বাদু খাবার। পর্যটকদের জন্য এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা,নদীর বাতাস, চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ পর্যটনের বিকাশ ঘটাবে এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। খানসামা ভিউ পয়েন্ট এখন শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, খাবারের দিক থেকেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।