KOICA-এর আর্থিক সহায়তায় এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে আরডিআরএস বাংলাদেশের বাস্তবায়নে এই কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্যে জানানো হয়, রংপুর বিভাগে প্রতি ১০ জন কিশোরীর মধ্যে প্রায় ৬ জন বাল্যবিবাহের শিকার হন। জাতীয় গড় যেখানে ৫০ শতাংশ, সেখানে রংপুর বিভাগে এই হার ৬৮ শতাংশ। শুধু লালমনিরহাটেই ৫৩ শতাংশ নারী ১৮ বছরের আগেই বিবাহিত হন, যার মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ১৬ বছরের নিচে। বাল্যবিবাহের ফলে কিশোরীরা পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় অল্প বয়সে গর্ভধারণের ঝুঁকিতে পড়ে।
বক্তারা বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে বাল্যবিবাহ ঠেকানো যাবে না; এর জন্য পরিবার, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। জন্ম ও বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের জন্য পরামর্শ ও আইনি সহায়তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিজিৎ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপঙ্কর রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার মেডিকেল অফিসার ডা. রবিউল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন জননী প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া, মনিটরিং অফিসার রাসেল ইসলাম, গভর্নমেন্ট রিলেশন অফিসার নজরুল ইসলাম এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার রেখা চক্রবর্তী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জননী প্রকল্প ২০২৩ সালের মার্চ থেকে রংপুর বিভাগে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য এবং বাল্যবিবাহ রোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পটি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।