1. onlinesokalerbani@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. iqbalbarabil80@gmail.com : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. sharifuzzamanmdiqbal@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
পুতুল নাচের মত খুড়িয়ে চলছে শিল্পীদের জীবন | দৈনিক সকালের বাণী
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

পুতুল নাচের মত খুড়িয়ে চলছে শিল্পীদের জীবন

কুড়িগ্রাম অফিস
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫ জন দেখেছেন
একসময় গ্রামে-গঞ্জে, হাট-বাজার, স্কুল কিংবা খোলা মাঠে মঞ্চ সাজিয়ে পুতুল নাচের আসর বসতো। শিশু থেকে শুরু করে সববয়সীরা ছুটে যেতেন পুতুল নাচ দেখতে। এখন আর সেই অনুষ্ঠান চোখে পড়ে না। শুধু পুতুল নাচই বিলুপ্তি হয়নি, এরসঙ্গে জড়িত কুশীলবরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
দীর্ঘদিন ধরে পুতুল নাচ পেশাকে আগলে রেখে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো অর্থের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একসময় যে মানুষগুলো পুতুল নাচ দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতেন, এখন তারা আছেন কষ্টে।
কথা হয় কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ত্রিমোহনী গ্রামের কিশোরী পুতুল নাচ থিয়েটারের পরিচালক বাবু মিয়ার সাথে, তিনি বলেন, “আজ থেকে ৩০ বছর আগে আমি যাত্রাপালায় কাজ করতাম। সেই সময় পরিচয় হয় ‘মনিকা পুতুল নাচের এর মালিক  শ্যামল মাস্টারের সাথে। যাত্রাপালার পাশাপাশি পুতুল নাচ নিয়ে টিম করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি ৮০ হাজার টাকায় পুরো পুতুল সেট আমার কাছে বিক্রি করে দেন। পরে ৮ জন সদস্য নিয়ে শুরু হয় প্রশিক্ষণ পর্ব।”প্রথম দিকে শুধু কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে অনুষ্ঠান শুরু করলেও ১৯৯৪ সাল থেকে বাইরের জেলাতে অনুষ্ঠান করার অনুমতি পাই।
 মূখ অভিনয় শিল্পী হাসেন আলী বলেন, ‘প্রশাসন এখন আমাদের প্রোগাম করার অনুমতি দেয় না। কারণ বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় পুতুল নাচের নামে বিভিন্ন ব্যক্তিরা অশ্লীল নাচ-গান করান। সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া কি এভাবে টিকে থাকা যায়? তবে আমি যতদিন বেঁচে আছি এই পুতুলের সঙ্গেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।’
পালাকার আবুল হোসেন বলেন, ‘পুতুল নাচ বন্ধ হয়ে গেছে। আগের মতো আমাদের ডাক আসে না। বছরে সরকারিভাবে দু-একটি অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে। সে সময় ৪০০-৫০০ শো টাকা পাই। সারা বছর দিনমজুর করে সংসার চলে।
তবলা বাদক স্বপন বর্মণ বলেন, ‘আমি এ পেশায় আছি ৩০ বছর। আগে পুতুল নাচ ভালো চলতো। মোবাইলের যুগে এখন আর মানুষ দেখে না। ফলে শো চালাতে পারছি না। আয়-রোজগার কমে গেছে। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।
মূক নাচ শিল্পী হোসেন আলী ও মোজাম্মেল স্ত্রী নুরবানু বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে পুতুল নাচ বন্ধ। এখন আগের মতো আয়-রোজগার নেই। বাচ্চাদের ভরণপোষণ নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আলমগীর কবির বলেন, মনিকা পুতুল নাচ অ্যান্ড থিয়েটার দলটির দুজন সরকারিভাবে ভাতার আওতাধীন। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে আনা হবে। এছাড়া বাৎসরিক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এলে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের ব্যাপারে উৎসাহী। পুতুল নাচ প্রদর্শনীর বিষয়ে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )