রংপুরের কারমাইকেল কলেজে আলুর বহুমূখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণনে করণীয় বিষয়ক আলোচনা এবং ব্যতিক্রমধর্মী ‘আলুর দম উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের লিচুতলায় সংস্কৃতি মঞ্চে বিশেষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কারমাইকেল কাইজেলিয়া শিক্ষা-সংস্কৃতি সংসদ (কাকাশিস)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাকাশিস’র প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক ইতিহাস বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. সাদেকুল ইসলাম, প্রফেসর এটিএম রিয়াজুল ইসলাম, কাকাশিস’র তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ওয়াহেদুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভিলাষময় ঈশোর, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূরন্নবী, শরীরচর্চা ও ক্রীড়া বিভাগের শিক্ষক মো. আবু মুসা পাটোয়ারী।
এছাড়াও সম্মানিত অতিথি ছিলেন কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতি রংপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল হক প্রধান, কাকাশিস’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি ফরহাদুজ্জামান ফারুক, সাবেক সভাপতি সুজিত চন্দ্র কর্মকার, উর্মি রায়, ছাত্র উপদেষ্টা মিথিলা মুকাররামা। সংগঠনের সভাপতি বাধন বাঁগচীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খাদিজা বেগম তমার সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আলুর বহুমুখী ব্যবহার আমাদের কৃষি ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। আলু শুধুমাত্র একটি প্রধান খাদ্যশস্য নয়, এর বহুমুখী প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নতুন পণ্য ও রপ্তানির সুযোগ। আলুর সঠিক ব্যবহার দেশের কৃষিখাতকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে এবং কৃষকদের জন্য নতুন আয়ের উৎস তৈরি করতে সহায়ক হচ্ছে। আলুর এই বহুমুখী ব্যবহারের সুফল ভোগ করতে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে। একই সঙ্গে আলু সংরক্ষণে প্রান্তিক পর্যায়ে সনাতন পদ্ধতির ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কাকাশিসের সদস্যদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানো হয়।
আলোচনা শেষে অতিথিসহ উপস্থিত সকলকে আলুর দম দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এসময় লুচি ও আলুর দমের মজাদার খাবার দারুণ উপভোগ করেন অতিথিরা। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহি খাবার ঘিরে এমন আয়োজনের জন্য কাকাশিস’র সকলকে ধন্যবাদ জানান কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।