ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে আগুনে পুড়ে অনেক গুরত্বপূর্ণ নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘটেছে। এ ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবি করে ইউপি সদস্যরা বলছেন,এ ঘটনাটি ইউপি সচিব পলাশ কুমার রায় পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।
বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি পরিষদের সচিবের কক্ষে আগুনে পুড়ে যাওয়া নথিপত্র পড়ে রয়েছে। অনেক মানুষ সেখানে জটলা বেধে বিভিন্ন সমালোচনা করছে। রাণীশংকৈল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করছে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নৈশ্য পাহারায় দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ ফজলু ও কম্পিউটার অপারেটর লিটনকে আটক করেছে পুলিশ।
ইউনিয়ন পরিষদের এতগুলো কক্ষের মধ্যে শুধু সচিবের কক্ষে আগুন ধরার বিষয়টিকে পরিকল্পিত বলছে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। প্যানেল চেয়ারম্যান হেদায়তুল্লাহ,ইউপি সদস্য তফিজুল ইসলাম,আলাউদ্দীন,আক্কেল আলী বুধবার সকালে এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আমাদের লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবরে ছিল।
সে অভিযোগের পেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। ঠিক ওই দিনই আগুনে নথিপত্র পুড়ে যাওয়াটি সন্দেহজনক ভাবছে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা। ইউপি সদস্যরা বলেন,গত রাত ১০টার দিকে সচিব পরিষদে এসে তাররুমে ছিল। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি ও কম্পিউটার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র প্রকল্পের ফাইলগুলো রাখা হয়েছিল সচিবের কক্ষে।
বিষয়টি সন্দেহজনক দাবী করে ইউপি সদস্যরা বলেন,বিষয়টি ভালো করে তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছে পরিষদের সদস্যরাসহ স্থানীয় জনতা।
এদিকে একটি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জেলা কারাগারে থাকায় দায়িত্বে থাকা প্যানেল চেয়ারম্যান হেদায়তুল্লাহ বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। আইনিভাবে যা করা প্রয়োজন তাই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এদিকে ইউপি সচিব পলাশ কুমার রায় বলেন, তিনি গত রাত ১০টার দিকে এসে চলে গেছেন। পরে কিভাবে আগুন লেগেছে তিনি জানেন না। তবে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন,প্যানেল চেয়ারম্যানকে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।