রংপুররের পীরগঞ্জে কাউয়াপুকুর বাজারের ইজাদারকে টোল আদায়ে বাঁধাসহ হুমকি দেয়ায় আগের ইজারাদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের ওই বাজারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ১৪৩২ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে আগামী এক বছরের জন্য কাউয়াপুকুর বাজারটির নিলামে দিতে উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি দেন। যাহার স্মারক নং-উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়.০৫.৫৫.৮৫৭৬.০০০.১০.০০১.২৩.৩১২। এতে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ডাকদাতা হিসেবে মো. আব্দুর রশিদ শেখ কে ইজারাদার নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ইজারাদার হওয়ায় উল্লিখিত বাজারটির আগের ইজারাদার আজাহার আলী মাস্টার নাখোশ হন এবং তিনি নতুন ইজারাদারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লিখিত বাজারটিতে আজাহার আলী মাস্টার ব্যবসায়ীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি, বাজারটি ধ্বংসে অপপ্রচার এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে শান্তি, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রম করে আসছেন। ফলে ইজারাদার মো. আব্দুর রশিদ শেখ গত ৭ মে আজাহার আলী মাস্টার সহ ১৩ জনকে এজাহারনামীয় বিবাদী এবং ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত বিবাদী করে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইজারাদার আব্দুর রশিদ শেখ বলেন, আমি বাজারের শৃঙ্খলা সৃষ্টি, দোকানপাট বৃদ্ধি, টোল আদায় সহ বাজারের সকল কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে আসছি। আগের ইজারাদার গং বাজারটি ইজারা নিতে অক্ষম হওয়ায় তারা শত্রুতার সৃষ্টি করে প্রায়শই বিভিন্ন মিথ্যাচার, হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড, বাজারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন সৃষ্টি করে টোল আদায়ে বাধা-প্রদান করছে। যা বাজার উন্নয়নে পরিপন্থি মূলক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি এর বিচার চাই।
বাজারটির একাধিক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আগের ইজারাদার সবসময়ই অতিরিক্ত টোল নিতে চাপ সৃষ্টি করতো। তার চেয়ে এখনকার ইজারাদারের ব্যবহার, আচার, আচরণ খুব ভালো। আমরা স্বস্তিতে ব্যবসা করছি। কিন্তু আগের ইজারাদার আবারও বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন, বিধি মোতাবেক আমরা কাউয়াপুকুর বাজারটি ইজারা দিয়েছি। কেউ শান্তি ভঙ্গ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।