1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
পীরগঞ্জের লাম্পি স্কিন ডিজিজে মারা যাচ্ছে অসংখ্য গরু | দৈনিক সকালের বাণী
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন

পীরগঞ্জের লাম্পি স্কিন ডিজিজে মারা যাচ্ছে অসংখ্য গরু

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
  • ৪৯ জন দেখেছেন

রংপুরের পীরগঞ্জে লাম্পি স্কিন ডিজিজ এ আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য গরু মারা যাচ্ছে। লাম্পির হাত থেকে মুক্তি চায় এই এলাকার কৃষককুল। উপজেলায় প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে হতাশায় ভুগছেন খামারি ও গবাদিপশুর মালিকরা। প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা সারাবছর ধারে ঋণ নিয়ে ফসলের চাষাবাদ করে থাকে। আর সেই ঋণের বোঝা হালকা করে গৃহপালিত পশু। এখানে অনেকেই চাষাবাদের পাশাপাশি গরু পালন করেন। কেউ কেউ আবার গরুর উপর নির্ভরশীল। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,এলাকার প্রায় গোয়াল ঘরেই ভাইরাস এই রোগ ছুঁইছুঁই করছে।
উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১৫ টি ইউনিয়নে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়েছে আশংকাজনহারে। রোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না অল্প বয়সের বাছুর এবং স্বাস্থ্যবান গরু। চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে শতশত গরু উপজেলা প্রাণীসম্পাদ অফিসের লোকজনের মাঠ পর্যায়ে দেখা মিলছে না মর্মে কৃষকদের অভিযোগ। উপজেলার জামালপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম, সাজেদুল বারী,বাদল মিয়া, ইয়াকুব আলী, আনোয়ার হোসেন, সমশের আলী, আজাদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান,বাদশা মিয়া,হোসেন আলী,আনরুলের একটি করে গরু ১ সপ্তাহের মধ্যে মারা গেছে। এছাড়াও কৃষ্ণুপুর গ্রামের রিপন মিয়া,জাহিদুল ইসলাম,মতিয়ার মিয়া, রাসেদুল ইসলাম এবং চতরা সোন্দলপুর গ্রামের হাবিবর, সোনাতলা গ্রামের নওফেল হোসেন, বড় আলমপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মমদেল হোসেনের একটি করে গরু মারা গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দাবি করছেন গ্রামের পশু চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক গরু মারা যাচ্ছে।
সচেতন মহলের অভিমত, গত বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শত-শত গরু মারা গেছে। সেই ক্ষতই শুকায়নি। আবারও ঘুরে এলো সেই একই ভাইরাস। সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলে গরু মালিকদের হতাশায় কাটবে না। লাম্পি স্কিন ডিজিজ এতোটাই ভয়াবহ কোন ঔষধ তোয়াক্কা করে না। ভালো গরু সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে উঠানো হয় সকালে গিয়ে দেখা যায় সমস্ত শরীরে ফুলা এবং খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছে। ফুলে যাওয়া স্থানগুলো কয়েকদিন পরে চামড়া উঠে যায় এবং ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হয়। গরু ব্যবসায়ী আব্দুল মমিন,সব্দেল হোসেন ও শামিম মিয়া বলেন, আমরা গ্রাম থেকে গরু কিনে হাটে বিক্রি করি। এতে উভয়ে লাভবান হই। বর্তমানে গ্রামে গরু কেনা অনেকটাই কমে গেছে। কারণ ভাইরাস এ আক্রান্ত গরু বোঝা যায় না। সেই কারণে গরুর বাজারও অনেকটাই কম। তারা আরও বলেন, গরু গ্রাম থেকে কিনে হাটে নিয়ে যাই হঠাৎ করে বাছুর মারা যায়। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়। যে কারণে অনেক গরু ব্যবসায়ী ব্যাবসা বাদ দিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে আছেন। ভুক্তভোগী কৃষকরা বলছেন, লাম্পি স্কিনের হাতুড়ি মার্কা কিছু চিকিৎসক রয়েছে। তারা সাধারণ মানুষ কে বোকা বানিয়ে গরুর দুই পাশে ইঞ্জেকশন পুশ করে টাকা হাতিয়ে নেয়। যে কারণে লাম্পি নিয়ে মহাবিপদে রয়েছে গরুর মালিকরা। তারা আরও বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোন চিকিৎসক গ্রামে দেখা যায় না। নিয়মিত সরকারের বেতন ভাতা নেন। অথচ সারাদিন অফিসে বসে থাকেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস পল্লি অঞ্চলের কৃষকের কোন কাজে আসছে না বলে তারা দাবি করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিস্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল কবির এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসার জন্য সরকার কাজ করছে এবং এ রোগের ভ্যাকসিন হাতে পেতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন-লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ে আমরা সাধারণত খামারিদের কে পরামর্শ দিয়ে আসছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )