লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সাংবাদিকের উপর হামলা ও থানা অবোরুদ্ধ করে সরকারি কাজে বাঁধা দানে মাহফুজার রহমান বিপ্লব হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নুরুন্নবী খন্দকার কাজল গ্রেফতার করেছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। গত ৬ মার্চ ২৫ তারিখে হাতীবান্ধা থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহিম একটি মামলা করেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত সিন্দুর্না ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ খানের ছেলে  জাতীয়পার্টির ছাত্রসমাজের নেতা মাহফুজুর রহমান বিপ্লবকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে হাতীবান্ধা পারুলীয়া রোডের হলদীবাড়ি ডিএস তেল পাম্প এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ করার মামলায় শনিবার দুপরে উপজেলার ঘুন্টি এলাকা থেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নুরুন্নবী খন্দকার কাজলকে আটক করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।

জানা গেছে গত ১৮ জুলাই ২৪ তারিখে বৈশম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামিলীগের মিছিলের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় আনন্দ টেলিভিশন এর  লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিমের উপর হামলা করে আওয়ামীলীগ। সেই হামলার ঘটনায় গত ৩ মার্চ ২৫ ইং তারিখে হাতীবান্ধা থানায় আব্দুর রহিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আওয়ামিলীগ নেতা মোশারফ খানের নাম থাকায় ৬ মার্চ সন্ধার পর হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশন এর সামনে সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ১০/ ১২ জন ব্যাক্তি হামলা করেন। পরে আব্দুর রহিম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই মামলার প্রধান আসামী মাহফুজার রহমান বিপ্লবকে শুক্রবার বিকেল আটক করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।

অপর দিকে গত দুই জুলাই পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ করে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। ওই মামলায় ছিনতাই হওয়া সোহেল নামে এক আসামী সহ দুই থানায় মোট ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন নবী বলেন সাংবাদিকের উপর হামলা ও গত ২ জুলাই হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ করে সরকারী কাজে বাঁধাদানের মামলায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।