1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ | দৈনিক সকালের বাণী
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন

সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ২০ জন দেখেছেন

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত খড়খড়িয়া নদীতে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। শহরের কুন্দল এলাকায় ইকু পেপার মিলের উত্তরের এলাকায় খড়খড়িয়া নদী থেকে ওই বালু তোলা হচ্ছে অনেকটাই প্রকাশ্যে। এতে করে নদী সংলগ্ন জনৈক ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাদি জমিগুলো নদীতে বিলীন হয়ে পড়ছে। পরবর্তীতে এ সব খাস জমিতে পরিণত হচ্ছে। এতে নদী সংলগ্ন জমির মালিকরা চরম ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক জমির মালিক শহরের নতুন বাবুপাড়া কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম গত ২৪ জুন নীলফামারী জেলা প্রশাসক, সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী, সৈয়দপুর ইউএনও এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের রংপুর সমন্বিত জেলা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে জমির মালিক চরম বিপাকে পড়েছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ২০০৫ সালে জনৈক সুফিয়া খাতুন কুন্দল এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর পাশে ৪২১২ নম্বর দলিলমূলে ৭২ শতক জমি ক্রয় করেন। যার বর্তমান বিএস দাগ নম্বর ৩২৩,৩২৪ ও ৩২৪। তিনি ক্রয়কৃত জমির খাজনাও নিয়মিত পরিশোধ পূর্বক ভোগদখল ও আবাদ করে আসছেন। কিন্তু বিগত ২০১৪ সালের পর থেকে কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকার জনৈক ব্যক্তি তাঁর জমি সংলগ্ন এলাকায় খড়খড়িয়া নদীতে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বেচাবিক্রি করে আসছেন। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের প্রভাব খাটিয়ে ওই ব্যক্তি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জমির মালিক সুফিয়া খাতুনও তাতে কোন রকম বাঁধা প্রদান করতে পারেননি। আর স্থানীয় প্রশাসনও কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। এতে করে ইতিমধ্যে জমির মালিক সুফিয়া খাতুনের আবাদি ১১ শতক জমি খড়খড়িয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ওই জমি খাস সম্পত্তি হিসেবে বিএস রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। আর এভাবে আবাদি জমি পাশে নদীতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় আবাদি জমিগুলো নদীতে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে পড়ছে। এতে সুফিয়া খাতুনসহ জমির মালিকেরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে পড়ছেন।
এদিকে, বর্তমানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জনৈক ব্যক্তি আবারও সুফিয়া খাতুন আবাদি জমি সংলগ্ন এলাকায় খড়খড়িয়ে নদীতে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় জমির মালিকও প্রকাশ্যে কোন কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় অনেকটা নিরূপায় হয়ে জমির মালিকের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক, পাউরো’র নির্বাহী প্রকৌশলী, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি জমির ভাঙ্গল রোধে খড়খড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )