1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
সুন্দরগঞ্জে হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী মনিরের পরিবার | দৈনিক সকালের বাণী
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী মনিরের পরিবার

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩২ জন দেখেছেন

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর হুইল চেয়ার পেল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনিরাম কাজী গ্রামের প্রতিবন্ধী মো. মনিরুজ্জামান মনির। এতে পৃথিবীর আলো-বাতাস খুব সহজেই দেখতে এবং চলাচল করার স্বপ্ন পূরণ হলো তার। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া তার ব্যক্তিগত অর্থ থেকে এ হুইল চেয়ারটি দেন।

এর আগে গত রোববার ও সোমবার ‘প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য রিকশাচালক বাবার হুইলচেয়ারের আকুতি, সাড়া মেলেনি কারও’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ পরিবারের অসহায়ত্বের বিষয়টি জানতে পারি। এতে ভীষণভাবে আমি মর্মাহত হই। তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করি এবং ঢাকা থেকে নিজেই আমি হুইল চেয়ারটি নিয়ে চলে আসি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যেখানেই অসহায় মানুষের খবর পাওয়া যাবে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আজ সেই কাজে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি বলেও জানান এ নেতা। প্রতিবন্ধী শিশুর বাবা মো. আলতাব হোসেন অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞ থাকবে আপনার প্রতি। আপনার এ দয়ার কথা কখনো ভুলবো না আমরা।

নামাজ বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। তিনি যেনো আপনার ভালো করেন এবং মনের আশা পুরন করেন।’ জেলা যুবদলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান রাজু, বিএনপি শান্তি সরকার, রেজাউল করিম সরকার রাজু, ইঞ্জিনিয়ার রুবেল মিয়াসহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্মগতভাবে শিশু মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রতিবন্ধী। ৩০ বছর ধরে ঢাকায় থেকে রিকশাচালক শিশুটির বাবা মো. আলতাব হোসেন। বসতবাড়ির ৪ শতাংশ জমি ছাড়া আর কোনো জমি নেই তার। জন্মে পর থেকে অনেক ডাক্তারকেই দেখিয়েছিলেন। কেউ শিশুটিকে ভালো করতে পারেনি। সবাই বলেছেন ওর নাকি পুষ্টির অভাব ছিলো। এখনো ওকে প্রত্যেকদিন ঔষধ খাওয়াতে হয়।

দুধ এবং ঔষধ মিলে প্রত্যেক মাসে ৩ হাজার টাকা লাগে ওর পিছনে। ঔষধ বন্ধ করলেই ঝাঁকুনি ও কান্না শুরু হয় এবং হাত-পা শিক লাগি আসে। আরও একটা ২ বছরের একটা ছেলে আছে তার পরিবারে। আর্থিক সংকট থাকায় ১ হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য ছিলো না। সে কারণে স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )