


লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাহা আলম (৩২) নামের এক কৃষকের টিনের চালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ওই কৃষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে সাদেকুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পশ্চিম নওদাবাস এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী মাহা আলম(৩২) বাদী হয়ে সাদিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মোট তিন জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পশ্চিম নওদাবাস এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে সাদেকুল ইসলাম(৪০) ও তার ছেলে আপেল(২২)। ভুক্তভোগী মাহা আলম একই জেলার পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কৈটারী এলাকার আজগর আলীর ছেলে। জানা গেছে, অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামের ফুফুর কাছ থেকে ২৪.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ভুক্তভোগী মাহা আলম।
কিন্তু এরপর থেকে সেই জমিতে চাষাবাদ এবং প্রবেশ করতে গেলে নানান ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্তরা। এমতাবস্থায় শুক্রবার দুপুরে সেই জমিতে রোপনকৃত ধান ক্ষেত দেখতে যান মাহা আলম। এ সময় তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা বাধে। এর এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর জমিতে থাকা টিনের চালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে বাধা দিতে গেলে মাহালমের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালান অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম ও তার লোকজন। উপায়ন্ত না পেয়ে সেখান থেকে মাহা আলম নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাহা আলম বলেন, গত মাসে আমি জমিটা ক্রয় করেছি। এরপর থেকে সেই জমিতে গেলে সাদেকুল ও পরিবারের লোকজন আমাকে বাঁধা প্রদান করেন এবং হুমকি ধামকি দেন।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমি আমার লাগানো ধান ক্ষেত দেখতে যাই। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করেন। এবং আমার জমিতে থাকা টিনের চালায় আগুন লাগিয়ে দেন। এখন সে নিজেই নিজের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনি। আগুনও লাগাইনি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।