


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বেসরকারি সংস্থা দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র অভিযান শুরু করেছেন। বুধবার সকালে সমিতি সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এছাড়াও উপজেলা সমবায় অফিসেও চালানো হয়ে এই অভিযান। এর আগে সহস্রাধিক প্রতারিত ভুক্তভোগীরা বিভিন্নভাবে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। এ ছাড়াও দেশের জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছিল।
অভিযোগ উঠেছে, চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায় দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে একটি সংগঠন ২০০৭ সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ওই বছরেই উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন পায় সমিতিটি। সমিতির নাম করে একটি চক্র প্রায় ৩ হাজার সদস্য নিয়ে লোক দেখানো ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে। সমিতিতে টাকা রাখলে উচ্চ হারে লভ্যাংশ প্রদানের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে তারা ৩-৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
নিজেদের গচ্ছিত অর্থ নিতে গেলে সদস্যদের অনেক দিন ধরে বিভিন্ন রকম তাল বাহানা করে আসছে সমিতির কর্তৃপক্ষ। নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পেতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন প্রতারিত সহস্রাধিক ভুক্তভোগী। এরই প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র অভিযান শুরু করেছে মাঠ পর্যায়ে। তারা সমবায় অফিস ও সমবায় সমিতির সকল সদস্যের সঙে কথা বলেন এবং বিভিন্ন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই বাছাই করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, দুদকের কার্যালয় থেকে ইনফোরমেস্ট ইউনিট হতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথমে আমরা উপজেলা সমবায় অফিসে গিয়ে সমিতির নিবন্ধন, অডিড ফাইল, রেকর্ডপত্র দেখি।
অনেক কাগজপত্র তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি, সেগুলো অফিসে পৌঁছে দেবে। পরে আমরা সমিতির অফিসে যাই, অফিসের কোনো অস্থিত্ত্ব নেই। পরবর্তীতে সমিতির ম্যানেজার, সাধারণ সম্পাদক সহ সদস্য ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য নেই।