


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ইতোমধ্যেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচেই পরাজয় বরণ করে টাইগাররা। আজ দুই দল মাঠে নেমেছে তৃতীয় ম্যাচে। স্বাগতিকদের জন্য এটি ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই। সে লক্ষ্য নিয়েই চট্টগ্রামের মতিউর রহমান চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন দাস। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হতে ভালো করতে না পারা টাইগার ব্যাটাররা আজও ব্যর্থই হয়েছেন। তবে ওপেনার তানজিদ তামিমের ৬২ বলে ৮৯ রানের মারকুটে ইনিংসের সুবাদেই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ১৫১ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ শেষ ৫ ওভারে ৪২ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন রোমারিও শেফার্ড।
দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিতে একাই লড়াই চালান তানজিদ। দুটি জীবন পাওয়া এই ওপেনার ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু তার ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ বলের ইনিংসটি থামে ৮৯ রান। এছাড়া দলের হয়ে দুই অঙ্কের দেখা পান কেবল সাইফ হাসান। চার নম্বরে নেমে এদিন তিনি ফেরেন ২২ বলে ২৩ রান করে।
আগ্রাসী শুরুর ইঙ্গিত দিলেও বেশি দূর যেতে পারেনি উদ্বোধনী জুটি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা পারভেজ হোসেন ইমনের (৯) বিদায়ে ভাঙে ২২ রানের জুটিটি। বেশিক্ষণ টেকেননি লিটন দাসও। খ্যারি পিয়ারের করা প্রথম ওভারেই ডিপ মিডউইকেটে ৯ বলে ৬ রান করে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর দলের হাল ধরতে তানজিদকে কেবল সহায়তা করেন সাইফ। ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার দলের খাতায় যোগ করেন ৬৩ রান। সাইফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচ নম্বরে নেমে ৩ রান করে ফেরেন রিশাদ হোসেন। পরের ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের প্রথম উইকেটটি নেন শেফার্ড।
জাকের আলীর আগে নামা নাসুম আহমেদও (১) ফেরেন দ্রুত। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে খেলা জাকের আট নম্বরে নেমে সাজঘরের পথ দেখেন ৩ বলে ৫ রান করে। শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার জন্য তানজিদের দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু শেফার্ডের করা প্রথম বলেই মিড-অফে হোল্ডারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলে শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শেফার্ড। ডানহাতি এই পেসারের শিকার ৩ উইকেট।