


সৌদি সরকারের দেওয়া উপহার দুম্বার মাংস কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের গেটের ভিতরে এবং তার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের কোয়ার্টারের একটি কক্ষের ভিতরে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ইউএনও’র বাসভবনে রাখা বস্তার ভিতরে ৭ প্যাকেট মাংস অফিস কর্মচারীরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা কালে মানুষের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সেখানে রেখে দেন। সুযোগ বুঝে পরে নিয়ে যাবেন মর্মে উপজেলা চত্বরের ভিতরে পুরাতন অফিসার্স ক্লাবের পিছনে পালিয়ে থাকেন।
এ ঘটনায় দুস্থের মাংস সুস্থে খায় বলে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসব মাংস রাতেই জুলাই যোদ্ধাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। জানা গেছে, গেলো রোববার রাতে সৌদি সরকারের দেয়া চিলমারীর জন্য বরাদ্দ ৩৩ কার্টুন দুম্বার মাংস জেলায় বিভাজন করে উপজেলা পরিষদে পৌঁছে দেন। এরপর সেগুলি উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অবগত না করেই রাতেই বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে সোমবার রাতে সেই মাংস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের গেটের ভিতরে এবং তার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যদের কোয়ার্টারের একটি কক্ষের ভিতর রাখতে দেখা যায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিতরণ সংশ্লিষ্ট দপ্তর পিআইও অফিসের তিনজন কর্মচারীকে বস্তা হাতে আনসার সদস্যের কোয়ার্টার থেকে বার হতে দেখা যায়। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিত টের পেয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে তারা কিছুটা দূরে গিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা অভিযোগের সত্যতা যাচাই এর জন্য সেই স্থানে গিয়ে হুমায়ুন নামের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান বিতরণ শেষ হয়ে গেছে। আর এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, পিআইও অফিসের তিনজন স্টাফ প্রথমত আলাদা বস্তায় কয়েকটি দুম্বার মাংসের প্যাকেট নিয়ে পরিষদ থেকে বেড় হওয়ার সময় স্থানীয়দের দেখে পুনরায় আবার ফেরত গিয়ে ইউএনও’র বাসার গেটের ভিতরে রাখেন।ইউএনওর বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য সাখাওয়াত জানান, আসলে আমি নতুন যোগদান করেছি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। পিআইও অফিসের স্টাফরা এখানে বস্তা রেখে গেছে। তবে তারা একটু পরে এগুলো নিয়ে যাবেন বলেছেন।
বিতরণ সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. সোহেল রহমান জানিয়েছেন, দুম্বার মাংস বিতরণ শেষ হয়নি। ইউএনও স্যার পথে আছে, আসতেছে আসলে বের হবেন। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, এটা স্পেসিফিক আমাদের হলো কয়েকটা মাদ্রাসা চরের মাদ্রাসাকে দেয়া হয়নাই ওরা কাল কে আসবে। আর আমাদের (জুলাই যোদ্ধা) আহত যারা আছে তাদের টা আমি আসলেই পাঠাবো আজকে, আমি আসতেছি। ইউএনও বলেন, আমি বের করতে বলছি, আপনি আহতদের সঙে কথা বলেন। আমরা বাইরের কাউকে দেই নাই।