


বাংলাদেশ জাতীয় ফুটসাল দলের খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন নীলফামারীর কৃতী সন্তান সেলিম সাদমান সৃজন। ২০২৬ সালে সাউথ এশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এসএএফএফ) ফুটসাল দলে খেলবেন জাতীয় দলের হয়ে। সেলিম সাদমান সৃজন ইউনাইটেড ইণ্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) কম্পিউটার সাইন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সে নীলফামারী জেলা শহরের জুম্মাপাড়ার অধ্যাপক তরিকুল আলম লিখন ও শামীম আরা সোমা দম্পতির একমাত্র ছেলে।
তার বড়োবোন নোশিন তাবাসসুম স্মরণ একজন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী। জাতীয় ফুটসাল দলের ওই খেলোয়াড়ের রয়েছে একাধিক প্রতিভা। খেলাধুলা ছাড়াও পরিচিত তিনি কণ্ঠশিল্পী, বাঁশি ও গিটারবাদক হিসেবে। তার অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোটর্স ক্লাবের নিয়মিত সদস্য। সূত্রমতে, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটসাল দল আন্তর্জাতিক ফুটসাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। দলটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এসএএফএফ ফুটসাল বলতে দক্ষিণ এশিয় ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ফুটসাল প্রতিযোগিতা বোঝানো হয়। এই ফেডারেশনটি ফুটসাল টুর্নামেণ্টের আয়োজন করে। ২০২৬ সালে সাফ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে থাইল্যাণ্ডে। ওই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে অংশ নিবেন নীলফামারীর সন্তান সেলিম সাদমান সৃজন।
জাতীয় ফুটসাল দলে সেলিম সাদমান সৃজন স্থান পাওয়ায় ইউআইইউ-এর প্রশাসন, অনুষদ এবং শিক্ষার্থীরা অপরিসীম গর্ব এবং সমর্থন প্রকাশ করেছে। তার যাত্রা সহপাঠী এবং ক্রীড়াবিদদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। শিক্ষাগত দক্ষতার সাথে অন্যান্য উৎকর্ষতার ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরার উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তার শিক্ষক, সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তার এমন কৃতিত্বের অনুভূতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই উল্লেখ করেছেন ক্যারিয়ারে এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ মাইলফলক।
সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায় আসন্ন চ্যাম্পিয়ানশিপে তার পারফরম্যান্স দেখতে আগ্রহী। এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সাথে সাথে, ইউআইইউ তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, জাতীয় ফুটসাল পর্যায়ে তার দেশ এবং তার বিশ্ববিদ্যালয় উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাকে শুভকামনা। সেলিম সাদমান সৃজনের কৃতিত্বে খুশি তার পরিবার। ছেলের সাফল্যের অনুভূতিতে তার বাবা অধ্যাপক তরিকুল আলম লিখন বলেন,‘ছোটোবেলা থেকে সৃজনের আগ্রহ ছিল খেলাধুলার প্রতি। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চা করতো নিয়মিত। আজকে তার কৃতিত্বে আমার পুরো পরিবার আনন্দি।
দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাতে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে এজন্য সকলের কাছে দোওয়া চাচ্ছি’। গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যায়ে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেলিম সাদমান সৃজন দলে স্থান পান বলে জানান তিনি।