গতকাল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে এসব অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিটি স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংগঠনের জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাড. নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদ, শিক্ষক এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ, কলি রানী বর্মন, কামরুল হাসান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সর্বজনীন- বিজ্ঞানভিত্তিক- সেক্যুলার- গণতান্ত্রিক একই ধারার শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা। গাইবান্ধায় মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ এবং গাইবান্ধা সরকারি কলেজে বাস সার্ভিস চালুসহ কলেজের নানাবিধ সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে বিরাজনীতি করনের পাঁয়তারা বন্ধ, প্রতিটি ক্যামপাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, ক্যামপাসে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল গঠন করা। শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ বাতিল করা। গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করা। শহীদদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা, আহতদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে সুচিকিৎসা এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করাসহ গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে গাইবান্ধায় স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানান। ১৯৬২ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসন-শোসন ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়ালিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না-জানা অনেকেই। তাদের স্মরণে এই দিনকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পরে বাধ্য হন এই কুখ্যাত শরিফ শিক্ষা কমিশন বাতিল করতে, এর পরে স্বাধীন দেশ হওয়ার পরও একই আক্রমণ এসেছে শিক্ষাক্রমের উপর।
সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাহেলা সিদ্দিকা সমাবেশটি পরিচালনা করেন।